(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
হাজরে আসওয়াদের পরিচয়
হাদীসের বর্ণনা মতে হাজরে আসওয়াদ হচ্ছে জান্নাত থেকে নাযিলকৃত একটি বরকতপূর্ণ পাথর।
জান্নাত থেকে নাযিল করার সময় তা দুধের চেয়ে সাদা ছিল, কিন্তু মানুষের পাপ ও গোনাহ সেটাকে কালো করে ফেলেছে। (তিরমিযী, ৮৭৭)
অর্থাৎ কেউ যখন হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করে বা স্পর্শ করে তখন তার কলবে গোনাহের কারণে যে কালো দাগ পড়ে তা ঐ পাথরের মধ্যে চলে আসে।
এভাবে মানুষের কলব তো সাদা হয়ে যায়, কিন্তু হাজরে আসওয়াদ শুধু কালো হতে থাকে।
হাজরে আসওয়াদের ফযীলত
হাজরে আসওয়াদের ফযীলত সম্পর্কে আরেকটি হাদিস, হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুল সাঃ ইরশাদ করেছেন,
কেয়ামতের দিন হাজরে আসওয়াদ কে এভাবে উপস্থিত করা হবে যে, তার দুটি চোখ থাকবে,
যা দ্বারা সে দেখতে পাবে এবং যবান থাকবে যা দ্বারা সে কথা বলতে পারবে।
যারা সহীহ তরীকায় হাজরে আসওয়াদ কে ‘ইস্তিলাম' (অর্থাৎ সরাসরি চুম্বন করেছে,
বা হাতে ইশারা করে হাতে চুম্বন করেছে) তার জন্য সে সাক্ষ্য দিবে।
কত সৌভাগ্যবান ঐ ব্যক্তি, কেয়ামতের দিন হাজরে আসওয়াদ যার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে যে, এই ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে;
আর কৃত ওয়াদা দ্বারা উদ্দেশ্যে হচ্ছে রূহের জগতে আল্লাহ যখন প্রশ্ন করেছিলেন,
আমি কি তোমাদের রব নই? তখন প্রতিটি রূহ উত্তর দিয়েছিলো, ‘অবশ্যই' ( আপনি আমাদের রব)
তবে মনে রাখতে হবে, চুম্বন সহীহ তরীকায় হতে হবে। অন্যকে কষ্ট দিয়ে চুম্বন করা কিছুতেই সুন্নত তরীকা নয়,
হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করার সুন্নত তরীকা
বরং সুন্নত তরীকা হলো, ভিড়ের কারণে নিকটবর্তী হওয়া সম্ভব না হলে দূর থেকে লাঠি বা হাত দ্বারা ইশারা করা এবং হাতে বা লাঠিতে চুম্বন করা।
স্বয়ং নবী সাঃ কখনো কখনো এরূপ করেছেন, যাতে উম্মত শিক্ষাগ্রহণ করে।
অথচ তিনি যদি হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করার জন্য অগ্রসর হতেন তাহলে সাহাবায়ে কেরাম অবশ্যই তার জন্য পথ করে দিতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি।
আরো পড়ুন👇👇👇
হজ্বের ফযীলতঃ মোহাম্মদ খিজির আহমদ, মাকামে ইবরাহীমের ফযীলত, বায়তুল্লাহ ও হজ্বের সূচনা