Breaking News
Home / হজ্ব / বায়তুল্লাহ ও হজ্বের সূচনা

বায়তুল্লাহ ও হজ্বের সূচনা

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম) বায়তুল্লাহ ও হজ্বের সূচনা

কা'বার পরিচয়

ঈমানের পর আমলের দিক থে ্ব হচ্ছে ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ বা রোকন।

ইবরাহীম আঃ পুত্র ইসমাইল আঃ কে সঙ্গে নিয়ে আল্লাহর আদেশে মক্কা ভূমিতে কা'বাতুল্লাহ নির্মাণ করেছিলেন।

এই কা'বা হচ্ছে দুনিয়ার প্রথম ঘর যা এক আল্লাহর ইবাদতের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

কিবলাহ

সুতরাং কা'বা হচ্ছে আল্লাহর তাআলার একত্ব ও তাওহীদের প্রতীক। কা'বা হলো মুসলিম উম্মাহর কিবলাহ।

কিবলাহ মানে যে দিকে অভিমুখী হয়ে ইবাদত করে।দুনিয়ার প্রতিটি মুসলিম

কা'বাতুল্লাহর অভিমুখী হয়ে প্রতিদিন পাঁচবার ছালাত আদায় করে। মক্কায় হারাম শরীফে যখন

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জাতি ও গোত্রের এবং ভাষা ও বর্ণের মুসলিম কিবলামুখী হয়ে বৃত্ত আকারে কাতারে দাড়ায়, রুকুতে যায়,

সিজদায় লুটিয়ে পড়ে সে দৃশ্য সত্যি বড় অপূর্ব, তার অপার্থিব সৌন্দর্যে মানুষের হৃদয়-মন আপ্লুত হয়ে পড়ে।

হজ্বের সূচনা

হজ্বের শুরু হয়েছে আসলে হযরত ইবরাহিম আঃ এর যামানা থেকে।

বায়তুল্লাহ নির্মাণ করার পর তিনি আল্লাহর আদেশে মানবসমাজে হজ্বের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কোরআনের ভাষায়,

واذن فى الناس بالحج ياتوك رجالا وعلى كل ضامر ياتين من كل فج عميق

আর (হে ইবরাহীম) তুমি মানুষের মাঝে হজ্বের ঘোষণা দাও, তখন তারা তোমার কাছে উপস্থিত হবে পায়ে হেঁটে এবং প্রত্যেক শীর্ণ উটে চড়ে,

যে উটগুলো দূরের পথ অতিক্রম করে এসে পৌছবে। (সুরা হজ্ব:২৭)

এভাবে হযরত ইবরাহীম আঃ এর দাওয়াতে শুরু হয়েছে হজ্বের ইবাদত, যা কিছু কিছু বিকৃতিসহ জাহেলী যুগেও অব্যাহত ছিল।

নবী সাঃ এর আবির্ভাবের পর ইসলামী শরীয়ত এ ইবরাহীমী ইবাদতকে জাহিলিয়াতের অনাচার থেকে মুক্ত করে দ্বীনের চতুর্থ রোকন বলে ঘোষণা করেছে।

আবদিয়াত ও র দাবী তো ছিল এই যে, কাছের ও দূরের ধনী-গরীব প্রত্যেকের উপর হজ্ব ফরজ হবে

এবং যত কষ্টই হোক প্রত্যেকে জীবনে একবার আল্লাহর ঘরে এবং আরাফার ময়দানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে প্রমাণ করবে যে,

সে হযরত ইবরাহীম আঃ এর তাওহীদী পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আল্লাহর অসীম দয়া ও করুণা যে,

তিনি শুধু সচ্ছল ও সক্ষম বান্দার উপর হজ্ব ফরজ করেছেন। আর যারা অসচ্ছল, অক্ষম ও দুর্বল তাদের শুধু

আত্মীক একাত্মতাকেই যথেষ্ট বলে গ্রহণ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে,

ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا. ومن كفر فان الله غنى عن العالمين.

আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে মানুষের উপর বাইতুল্লাহর হজ্ব ফরয করা হয়েছে,

যারা সে পর্যন্ত পৌছার সামর্থ্য রাখে। আর যারা প্রত্যাখ্যান করবে ( তাদের জেনে রাখা উচিত যে,) আল্লাহ বিশ্বী থেকে অমুখাপেক্ষী।

আরো পড়ুন 👇👇👇

হজ্ব ফরজ হওয়ার বর্ণনা,
কুরবানীর ফযীলত ও তার জরুরি মাসায়েল, যিলহজ্ব মাসের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি আমল

About Hafij Khijir

আমার নাম হাফিজ খিজির আহমদ। ঠিকানা. সিলেট, বাংলাদেশ। আমি কওমি মাদ্রাসার অধ্যায়নরত একজন ছাত্র। আমার ধর্ম ইসলাম । আর আমি এই ইসলাম সম্পর্কে জানতে শিখতে ও শিখাতে ভালোবাসি। আমি যা জানি তা জানাই, এবং যা জানিনা তা জানার চেষ্টা করি ও করতেছি।উদ্দেশ্য একটাই আল্লাহ এবং আল্লাহ তাআলার রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জন ।

Check Also

মদীনা শরীফে মসজিদে নববী যিয়ারতের নিয়মাবলি

মুসলিমবিডি২৪ ডটকম  এ বিষয়ে সুন্নত তরীকগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হল: মসজিদে নববী যিয়ারতের সাথে হজ্জ …

Powered by

Hosted By ShareWebHost