(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
হজ্বের ফযীলত
ইসলামের অন্যান্য রোকন, তথা নামাজ,রোজা ও যাকাতের যেমন বড় বড় ফজিলত রয়েছে তেমনি হজ্বের ও রয়েছে নিজস্ব ফজিলত ও মর্যাদা।
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত হাদীসে রাসুল সাঃ বলেছেন,
من حج لله فلم يرفث ولم يفسق رجع كيوم ولدته امه.
যে ব্যক্তি শুধু আল্লাহকে সন্তষ্ট করার জন্য হজ্ব করবে, আর কোনরূপ অশ্লীলতা করবে না এবং পাপাচার করবে না,
সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ অবস্থায় ফিরে আসবে যেদিন তার মা তাকে জন্মদান করেছে। সুবহানাল্লাহ, কত বড় ফযীলত!
বান্দা যত গোনাহগার হোক, হজ্ব করার মাধ্যমে সে ঐদিনের মত নিষ্পাপ হয়ে যায় শিশু হয়ে যায় যেদিন তার মা তাকে জন্মদান করেছে।
হজ্বের ফযীলত হাসিল হওয়ার শর্ত
তবে এই ফযীলত হাসিল হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমতঃ এই হজ্ব সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হতে হবে।
দুনিয়ার কোন ফায়দা যেমন সুনাম সুখ্যাতি ইত্যাদি যেন না হয়। হাদিস শরীফে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে,
কেয়ামতের পূর্বে আমার উম্মতের ধনী লোকেরা শুধু ভ্রমণের উদ্দেশ্যে হজ্ব করবে,
আর মধ্য শ্রেণির লোকেরা ব্যবসার উদ্দেশ্যে হজ্ব করবে আর আলেমরা সুনামের জন্য হজ্ব করবে,
আর গরীবেরা ভিক্ষার জন্য হজ্ব করবে। (তারীখে বাগদাদ লিলখাতীব, ১০/২৯৬)
দ্বিতীয় শর্ত হলো, যাবতীয় অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। তৃতীয় শর্ত হলো, যাবতীয় পাপ ও নাফরমানী থেকে বিরত থাকা।
বস্তুত অশ্লীলতা ও পাপাচার তো সবসময়ের জন্যই হারাম, তবে হজ্বের ইহরামের অবস্থায় ওগুলোর গুরুতরতা আরো বেড়ে যায়।
হজ্বের আরেকটি শর্ত হলো, হজ্বের আমল নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস, (শাওয়াল থেকে যিলহজ্বের ১২-১৩ তারিখ পর্যন্ত)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুল সাঃ বলেছেন, মকবুল হজ্বের জাযা ও বিনিময় জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়। (বুখারী, ১৭৭৩ মুসলিম, ১৩৪৯)
হযরত আয়েশা রাযিঃ হতে বর্ণিত রাসুল সাঃ বলেছেন,
আল্লাহ তাআলা আরাফার দিনের মত অন্য কোন দিন এত বিপুল পরিমাণে বান্দাকে জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত দান করেননি।
আর ঐদিন তিনি নিকটবর্তী হোন, তারপর ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করে বলেন দেখো, এরা কি চায়? (মুসলিম ১৩৪৮)
শয়তানের অপদস্থ হওয়া
এক হাদিসে নবী সাঃ বলেছেন, শয়তানকে এতটা তুচ্ছ, লাঞ্ছিত, অপদস্থ ও ক্রুদ্ধ আর কখনো দেখা যায়নি যতটা দেখা গিয়েছে আরাফার দিন।
কারণ সে আল্লাহর রহমতের অবতরণ এবং বান্দার বড় বড় গোনাহ মাফ করে দেওয়া দেখতে পায়।
তবে বদরের দিন তাকে এর চেয়ে বেশি অপদস্থ ও ক্রুদ্ধ দেখা গিয়েছিলো। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, ৯৮২)
আরো পড়ুন 👇👇👇
বায়তুল্লাহ ও হজ্বের সূচনা, টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ সহীহ হওয়ার পদ্ধতি, যমযমের ফযীলত, হজ্জ পালন না করার পরিনতি, যিলহজ্বের প্রথম দশদিনের আমল আল্লাহর পছন্দ