(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
হজ্জ আদায় করার সাওয়াব ও ফজিলত যেমন সীমাহীন,তেমনি ফরজ হজ্জ আদায় না করার ব্যপারে ও কঠিন হুশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে।
عن علي رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلي الله عليه وسلم:
من ملك زادا و راحلة تبلغه الي بيت الله،
ولم يحجَّ فلا عليه ان يموت يهوديا او نصرانيا،
وذالك ان الله تبارك و تعالي يقول: “و لله علي الناس حجُّ البيت من استطاع اليه سبيلا”
যে ব্যক্তি বাহন পাথেয়- এর মালিক হয়েছে,যা থাকে আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছে দিবে,তবুও সে হজ্জ করল না
তাহলে সে ইহুদি অবস্থায় মারা গেল না খৃষ্টান হয়ে তাতে কিছু যায় আসে না।
(অর্থাৎ তার ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী) আর তা এ কারনে যে, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌছতে সক্ষম তার উপর হজ্জ ফরজ করা হয়েছে।
তিরমিজি হাদিস নং ৮১২
হযরত উমর রাঃ বলেন, শক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে হজ্জ করল না, আল্লাহর কসম সে হয় ইয়াহুদী হয়ে মারা যাবে আর না হয় খৃষ্টান হয়ে।
আল্লাহু আকবার, কী ভয়াবহ পরিনতির হুশিয়ারি!
এরপরো কি কোন মুসলমান,যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে,আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিশ্বাস করে,
যার উপর হজ্জ ফরজ হয়েছে সে কি পারে হজ্জ আদায় না,করার দুঃসাহস দেখাতে!
অথচ আমাদের এ দেশে কত বিত্তশালী এমন আছে যারা সময় ও সুযোগের অভাব এবং ব্যবসায়িক ঝামেলার অযুহাতে ফরজ হজ আদায় করার চিন্তা ও করে না!
যখন মউতের সময় হবে,আর মউত তাকে থাবা দিয়ে নিয়ে যাবে,তখন কোথায় থাকবে তার ব্যবসায়িক ঝামেলা এবং সময়াভাবের অজুহাত!
সুতরাং এখনও সময় আছে, আমরা যেন সাবধান হই,হজ্জ ফরজ হওয়া মাত্রই হজ্জ আদায় করার বিষয়ে পূর্ন সচেষ্ট হই। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমীন।
মুহাম্মদ আফজাল-১৫/৬/২০২১
এক বুযুর্গের কারামত,ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ,ইস্তেগফারের উপকারিতা