(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা
প্রশ্নঃ শরীয়তের দৃষ্টিতে মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা কতটুকু জায়িয?
মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মৃতের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে ফকির- মিসকীনদের খাওয়ানো কতটুকু শরীয়ত সম্মত?
এ দিনে কি আমল করলে মৃতের আত্মা শান্তি পাবে? অনুগ্রহ করে জানাবেন।
উত্তরঃ শরীয়তে মৃত্যু বার্ষিকী পালন করার কোন ভিত্তি নেই। সালফে সালেহীন তথা সাহাবায়ে কেরাম,
তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনদের যুগে এর প্রচলন ছিল না। সুতরাং মৃত্যু বার্ষিকী রীতি পালন করা নিছক মনগড়া ও বিজাতীয় একটি কুসংস্কার।
তাই মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মিসকীন খাওয়ানো বা অন্য যে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ঠিক নয়। বরং শরীয়ত পরিপন্থী কাজ।
উল্লেখ থাকে যে, মৃতের রুহের মাগফিরাতের জন্য দিন- তারিখ নির্দিষ্ট না রেখে বৎসরের যে কোন সময় অবস্হা,
সুযোগ ও সামর্থ্য অনুযায়ী দান, সদকা ও নফল ইবাদত ইত্যাদির মাধ্যমে সাওয়াব রেসানী করা যায়।
হাদীস শরীফের বর্ণনা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি সব সময়ই অপেক্ষায় থাকে তার কোন সন্তান বা আত্নীয় তার জন্য কোন সাওয়াব পাঠায় কি- না?
তাই যখনই সুযোগ হয় তখনই যথা সম্ভব যে কোন আমলের মাধ্যমে ঈসালে সাওয়াব করা উচিৎ।
(ইমদাদুল মুফতীন ১:১৫৮# মাজমু'আতুল ফাতাওয়া ১:৩৪১ # ইমদাদুল আহকাম ১:১৯০ #ফাতাওয়ায়ে রশীদিয়া ১৬৬ #শামী ২:২৪০-৪১)
(পাঠিয়েছেন,হাফিজ মাওলানা মুফতি ইমরান হুসাইন)
দারুল হাদীস & মাস্টার্স, জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলূম বড় কাটারা মাদ্রাসা, চকবাজার, ঢাকা- ১২১১.
দারুল ইফতা & ইসলামীক আইন ও গবেষনা বিভাগ
জামিআতুস সাহাবাহ বায়তুর রহীম মাদ্রাসা & মসজিদ কমপ্লেক্স, উত্তরা মডেল টাওন,সেক্টর :৯,রোড নংঃ১১-১২,ঢাকা- ১২৩০.
এইচ. এস. সি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা, ঢাকা (এমপিওভুক্ত একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান)
সাধারণ সম্পাদক, দাওয়াতুল হক কাফেলা, কুটি, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। (উলামা ও তুলাবাদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন) Gmail address:imranhossain 081996@gmail.com
Mobile:01931427518