কুরাইশরা যখন বায়আতে العقبة الثانية সম্পর্কে জানতে পারল,তখন তাদের ক্রোধের সীমা রইল না।
মুসলমানদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের কোন সুযোগই তারা হাতছাড়া করল না।
এ সময় নবী করীম সাঃ সাহাবায়ে কেরামদে্য মদিনায় হিজরত করার পরামর্শ দেন।সাহাবীগন আস্তে আস্তে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন।
এমনকি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,আবু বকর রাঃ,আলী রাঃ ও কিছু অক্ষম ব্যক্তি ব্যতীত মক্কায় আর কোন মুসলিম অবশিষ্ট রন নি।
হযরত আবু বকর রাঃ হিজরতের ইচ্ছা করছিলেন,কিন্তু রাসুল সাঃ তাকে বললেন, আল্লাহ আমাকে হিজরতের অনুমতি দেওয়া পর্যন্ত আপনি অপেক্ষা করুন।
হযরত আবু বকর রাঃ রাসুল সাঃ এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।এবং সফরের জন্য দু'টি উঠ ক্রয় করে রাখলেন।
একটি নিজের, অপরটি রাসুল সাঃ এর জন্য।(সীরাতে মুগলতাই পৃষ্ঠা-৩১)
রাসুল সাঃ এর মদিনায় হিজরত
কুরাইশরা যখন বিস্তারিত অবস্থা জানতে পারল,তখন তারা নবীজী সাঃ সম্পর্কে এখন কি করা যেতে পারে,
এজন তারা “দারুন নাদওয়াতে” এক পরামর্শ সভার আয়োজন করল।কেউ বন্দী করার,কেউ দেশ থেকে নির্বাসন দেওয়ার মত দিল।
কিন্তু তাদের বিজ্ঞজনরা বলল, এর কোনটাই ঠিক হবে না।কেননা তাকে বন্দী করলে,তার সাথীগন আক্রমণ করে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে।
আর নির্বান দিলে তো আমাদের নিশ্চিত ক্ষতিকর হবে,কারণ তার চরিত্র-মাধুর্য্য দেখে মানুষ তার ভক্ত হয়ে পরবে।
এজন্য দূর্ভাগা আবু জেহেঋ তাকে হত্যা করার পরামর্শ দিল।এ হত্যা কান্ডে প্রতি গোত্রের একেকজন শরীক হবে।
তাড়লে মুহাম্মদ সাঃ এর গোত্র বনু আবদে মানিফ প্রতিশোধ নিতে অপারগ হবে।উপস্থিত সকলেই তার মত পছন্দ করল।
এবং প্রত্যেক গোত্র হতে একেকজন যুবক একাজের জন্য নির্ধারিত করল।
তাদের বলে দেওয়া হল যে,অমুক রাতে একাজ করা হবে।