(মুসলিমবিডি২৪.কম)
দোকানে, ঘরে মূর্তি বা ফটো রাখা নাজায়েয -হারাম।
সম্মানিত মুসলিম জনতা !
আল্লাহ পাক আমাদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত হিসেবে এ ধরায় প্রেরন করেছেন।
এবং সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে আখ্যায়িত করে ঘোষণা করেছেন যে, “তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, তোমাদেরকে মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
তোমাদের শ্রেষ্টত্বের কারন এই যে, তোমরা সৎ কাজের আদেশ করে থাক এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করে থাক এবং আল্লাহ পাকের উপর ঈমান এনে থাক”। (আল-কোরআন)।
বর্তমান সমাজে দেখা যায় যে, দোকানে দোকানে মূর্তি রাখা হয়েছে ক্রেতাদের আকর্ষনের জন্যে এবং পয়েন্টে পয়েন্টে বিলবোর্ডে মূর্তি লটকানো হয়েছে।
কিন্তু ফটো বা মূর্তি রাখা হারাম তা যেন আজ আমরা ভূলে গিয়েছি,আর এ জন্যে হয়ত আমাদের উপর বার বার গজব নাজিল হচ্ছে।
তাই কোরআন ও হাদিস এ বেপারে কি বলে তা জেনে নেই এবং এরই আলোকে জীবন পরিচালনা করি।
ফটো বলতে আমরা জড় ও জীব পদার্থকেই বুজি। যেমন গাছ পালা ইত্যাদির ছবি ও প্রানীকুল তথা মানব,গরু, ছাগল ইত্যাদির ছবি।
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রানীর ছবি উঠানো বা ঘরে রাখা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ।
তবে মানব জাতির কল্যাণের লক্ষে কোন কোন অতি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে প্রয়োজনের ভিত্তিতে ইসলামি আইন বিশারদগন প্রয়োজন মোতাবেক হাফ ফটো উঠানোর অনুমতি দিয়েছেন।
যেমনঃ আই.ডি. কার্ড, জন্মনিবন্ধন কার্ড, পাসপোর্টের প্রয়োজ,, বিভিন্ন প্রকার লাইসেন্স এর জন্যে জমি ক্রয় বিক্রয় ইত্যাদির ক্ষেত্রে।
তাছাড়া সরকারি বিভিন্ন পরিচয় পত্রে জালিয়াতি প্রতিরোধ কল্পে সরকারি নির্দেশক্রমে বর্নিত বিষয়াদির জন্য ফটো উঠানো জায়েয।
মানবের আকৃতি তৈরি করা বা কোন প্রানীর দেহ, ছবি, মূর্তি বানিয়ে ঘরে বা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে রাখা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হারাম।
কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, “তিনি সেই আল্লাহ, তোমাদের আকৃতি গঠন করেন মায়ের গর্ভে, যেমন তিনি চেয়েছেন” (আল ইমরান -৬)।
অপর আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে “নিশ্চই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি অতঃপর তোমাদের আকৃতি গঠন করেছি”(সূরায়ে আ'রাফ)।
অন্যত্র বর্ণিত আছে,তিনি তোমাদের আকৃতি গঠন করেছেন, অতঃপর তোমাদের আকৃতি গঠনকে সুন্দর করেছেন, (সূরা তাগাবুন আয়াত-৩)।
আরো ইরশাদ হচ্ছে, “তিনিই আল্লাহ তায়ালা স্রষ্টা, উদ্ভাবক,রূপদাতা। ( সুরা হাশর, আয়াত-২৪)।