(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
আল্লাহর রহমতে হযরত হালীমা সাদিয়া (রা:) এর ভাগ্য খুলে গেল এবং দুজাহানের নেতা হযরত মুহাম্মদ (সা:) তার কোলে এসে গেলেন।
বিশ্রামস্থল তাবুতে ফিরে এসে যখন হালীমা শিশু মুহাম্মদ সাঃ কে দুগ্ধপান করাতে গেলেন তখন বরকতের বহি:প্রকাশ শুরু হয়ে গেল।
তার স্তনে এত দুধ এলো যে, নবীজী এবং তার দুধ ভাই খুবই পরিতৃপ্ত হয়ে পান করলেন এবং আরামে ঘুমিয়ে পড়লেন।
এদিকে উটনীকেও দেখলেন যে তারও স্তন দুধে পরিপূর্ণ।আমার স্বামী তার দুধ দোহন করলে আমরা সকলে পরিতৃপ্তির সাথে পান করলাম এবং সারা রাত আরামে ঘুমালাম।
দীর্ঘদিন পর এটি ছিল আমাদের প্রথম রাত,যাতে আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমালাম।এবার আমার স্বামী বলতে লাগলেন,হালীমা!তুমি তো বড় মুবারক বাচ্চা নিয়ে এসেছ।
আমি বললাম,আমার ধারণাও এটিই যে এ অত্যন্ত মুবারক বাচ্চা।
নবী করীম সা:কে কোলে নেওয়ার পর দুর্বল গাধাটির কি অবস্থা হয়ে ছিল
হযরত হালীমা সাদিয়া রা. বলেন,অতঃপর মক্কা থেকে বাড়ীর পথে রওনা হলাম এবং আমি তাকে কোলে নিয়ে ঐ গাধাটির উপর সাওয়ার হলাম।
এবার আল্লাহর কুদরতের আশ্চর্য এ দৃশ্য অবলোকন করতে লাগলাম যে, সেটি এতই দ্রুত চলতে লাগলো যে, অন্যদের সওয়ারি তার তার কাছেও ভিরতে পারল না।
আমার সঙ্গীনি মহিলারা বিষ্মিত হয়ে বলতে লাগলো, আরে এটা কি সেই পশু যাতে তুমি সওয়ার হয়ে এসেছিলে?
রাসুল সাঃ কে নিয়ে বাড়িতে পৌছার পর সেখানের অবস্থা কেমন ছিল
যাহোক রাস্তা শেষ হলো, আমরা বাড়িতে পৌছে গেলাম। সেখানে ভীষন দূর্ভিক্ষ চলছিল,দুধের পশুগুলো ছিল দুধ শুন্য।
কিন্তু আমি বাড়িতে প্রবেশ করার সাথে সাথেই আমার বকরিগুলোর স্তন দুধে পরিপূর্ণ হয়ে গেল।
এখন প্রতিদিন আমার বকরিগুলো দুধে পরিপূর্ণ হয়ে বাড়ী ফিরে,অথচ অন্যদের পশু গুলোতে তখন একফোঁটা দুধ হয়না।
আমার গোত্রের লোকেরা তাদের রাখালদের কে বল্ল,তোমরাও নিজেদের পশুগুলো সেখানে চরাও যেখানে হালীমার বকরি চরে।
কিন্তু সেখানে চারণভূমির কোন বৈশিষ্ট্য ছিল না;বরং অন্য কোন রত্নের সমাদর ছিল।সেটা তারা কোথায় পাবে?
সুতরাং একই জায়গায় চরানো সত্বেও তাদের পশুগুলো দুধ শুন্য আর আমার গোলো দুধে পরিপূর্ণ হয়ে চারণভূমি হতে ফিরে আসত।
এভাবে আমরা একের পর এক তাঁর বরকত পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম।অতঃপর দুই বছর পূর্ন হয়ে গেলে তার দুধ ছাড়িয়ে নিলাম।
(আস-সালিহাত)
নবী করীম সা: এর প্রথম কথা কি ছিল
হযরত হালীমা সাদিয়া রা বলেন যখন রাসুল সাঃ এর দুধ ছাড়ানো হলো তখন তার পবিত্র জবানে এই কথা উচ্চারিত হয়।
الله اكبر كبيرا والحمد لله حمدا كثيرا و سبحان الله بكرة و اصيلا
অর্থ আল্লাহ সবচেয়ে বড় ও মহান তার জন্যই প্রচুর প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা সর্বদাই তিনি ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে পবিত্র।
ইবনে আব্বাস কর্তৃক বর্নিত এ হাদিসটি ইমাম বায়হাকি (র) স্বীয় কিতাবে বর্ণনা করেছেন।
(খাসায়েসুল কোবরা-১/৫৫)
আরো পড়ুন 👇👇👇
নবী করীম সা: কে কোথায় এবং কে দুগ্ধপান করান