(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
মোটকথা যে বছর আসহাবে ফীলের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল,
সে বছরের রবিউল আউয়াল মাসের বার তারিখ রোজ সোমবার পৃথিবীর ইতিহাসে একটি অন্যদিন ছিল।
সেদিন পৃথিবীর সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য, দিবারাত্রির পরিবর্তনের রহস্য আর আদম সন্তানের গর্ব, হযরত নূহ (আ:)-এর কিশতী সুরক্ষার গুঢ়তত্ব,
হযরত ইব্রাহীম (আ:)-এর দোয়া আর হযরত মূসা ও ঈসা (আ:)-এর ভবিষ্যৎ বাণীর লক্ষ্যস্থল অর্থাৎ আমাদের সরদার হযরত মুহাম্মদ (সা:) এ ধরাধামে তাশরীফ আনয়ন করেন।
একদিকে পৃথিবীর মূর্তিশালায় নবুয়তের সূর্যোদয় হলো, অপরদিকে পারস্য সম্রাট কিসরার প্রাসাদে এক ভূমিকম্পে চৌদ্দটি চূড়া ধ্বসে পড়ল।
পারস্যের শ্বেত সাগরের অথৈ জলরাশি শুকিয়ে গেল। পারস্যের অগ্নিকুন্ডের সেই অগ্নি যা হাজার বছর ধরে প্রজ্বলিত ছিল তা একাকীই নির্বাপিত হয়ে গেল।
(সীরাতে মুগলতাই-৫)
প্রকৃত পক্ষে এটি ছিল আগুন পূজা সহ সকল ভ্রান্তির অবসানের ঘোষণা এবং রোম-পারস্যের রাজত্বের পরিসমাপ্তির ইঙ্গিত।
রাসূল (সা:) গর্ভে থাকাবস্থায় মা আমিনা যে বিস্ময়কর বিষয় গুলো অবলোকন করলেন এবং কিভাবে তিনি ভূমিষ্ট হলেন?
সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, জন্মের সময় নবীজীর মাতার উদর থেকে এমন একটি নূরের বিচ্ছুরণ ঘটেছিল,
যার আলোকে পূর্ব পশ্চিম সব আলোকিত হয়ে গিয়েছিল।
কোনো কোনো বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, নবীজী (সা:) যখন ভূমিতে আবির্ভূত হলেন তখন উবয় হাতে ভর দিয়ে ছিলেন ।
অত:পর এক মুষ্ঠি মাটি নিয়ে আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন।
(মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়া)
নবী করীম (সা:) এর সম্মানিত পিতার ইন্তেকাল
নবী করীম (সা:)-এর জন্মের পূর্বে তার পিতা আব্দুল্লাহকে দাদা আব্দুল মুত্তালিব আদেশ দিলেন মদিনা থেকে খেজুর আনার জন্য।
আব্দুল্লাহ নবী করীম (সা:) কে গর্ভে রেখেই মদিনায় রওয়ানা হয়ে গেলেন, ঘটনাক্রমে সেখানে তার মৃত্যু হয়ে গেল।
এভাবে জন্মের পূর্বেই পিতার স্নেহের ছায়া মাথার উপর থেকে উঠে গেল।
(সীরাতে মুগলতাই-৭)
আরো পড়ুন 👇👇👇
পৃথিবীতে নবী আগমনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস