(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
১১ মার্চ সোমবার ফজরের নামাজ পরে একাধারে আড়াই ঘন্টা বুখারী শরীফ এর দরস দেন।
তালাক বিষয়ক আলোচনা করতে গিয়ে ছাত্রদের ঝিমুনি দেখে স্বভাবসুলভ মজাও করেন মন মানসিকতায় ফুর্তির ভাব ছিল।
দফতরি মুহাম্মাদ আলী ভাই সাহেব সকালে খিচুড়ি দিলে তাও সেদিন আহার করেন। দারসের নির্ধারিত সময়ে আবার বুখারী শরীফ পড়ান।
যোহরের নামাজ আদায় করে খাওয়াদাওয়া করেন।বিকেলে আসাতিযায়ে কেরামের বৈঠক ছিলো। এজন্য হলরুম প্রস্তুত কিনা নিজে গিয়ে দেখে আসেন।
সন্ধ্যায় ছাতকে প্রোগ্রাম ছিলো। দুপুরে খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে গিয়ে চার ঘটিকার দিকে সজাগ হন। শরীর ঘেমে উঠেছে দেখে ভালোমতো গোসল করেন।
শরীরে অস্বস্তি করছিলো দেখে দফতরি কবীর ভাই সাহেব পিঠ মালিশ করে দেন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো দেখে ছেলে রাইহান কে ডাকবেন কিনা জানতে চাইলে, না করেন।
একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে গেলে নির্বাহী মুহতামিম মাওলানা আসাদ উদ্দিন ও সহকারী মুফতি মাওলানা আবুল খায়ের বিথংগলী হাফিজাহুমাল্লাহকে ডেকে নিয়ে আসা হয়।
তারা এম্বুলেন্স আসার জন্য ফোন করলে এম্বুলেন্স আসে। এরমধ্যে শ্বাসকষ্ট কঠিন রূপ ধারণ করে নিয়েছে।
ধরাধরি করে গাড়িতে তোলা হলে জোরে কয়েকবার আল্লাহু আকবার বলেন। কালিমাও পাঠ করেন। (সবসময় অত্যন্ত সুন্দরকরে ‘আল্লাহু আকবার' বলতেন)
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার জানান, হুজুর ইতোমধ্যে দুনিয়ার জগত ত্যাগ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। জন্ম ১৯৫৬ খৃস্টাব্দের ১৫ মার্চ। ইন্তেকাল ২০১৯ খৃস্টাব্দের ১১ মার্চ।
আল্লাহ হুজুরকে জান্নাতুল ফিরদউস দান করেন, এই দোয়া সকল পাঠকের কাছে কামনা করি,আমিন।
(লিখাটি এক ভাইয়ের ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে সংগ্রহ)