(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
ইদানিং লক্ষ করা যায় যে,অনেকেরই দোয়া কবুল হয় না।তখন সে আল্লাহর উপর অসন্তুষ্ট হয়।
কিন্তু তার পকৃত কারণ কি তা খতিয়ে দেখা হয় না।
নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:তোমাদের দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ হলো হারাম ও অবৈধ পন্থায় অর্জিত অর্থে জিবিকা নির্বাহ করা।
আরো সুস্পষ্টভাবে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন: এক ব্যক্তি হজ্ব বা ইবাদতের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সফরে বের হয়।
সেখানে (কা'বা শরীফে) উপস্থিত হয়ে সে দোয়ার জন্য হাত উত্তোলন করে, এমতাবস্থায় দীর্ঘ সফরের কারণে সে খুব ক্লান্ত,সমস্ত শরীর ধূলয় ধুসরিত।
সে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর নিকট পার্থনা করছে,কিন্তু তার দোয়া কবুল হচ্ছে না।অথচ তার দোয়া কবুল হওয়া উচিত;
কারণ একতো সে আবেদ(ইবাদত কারী),আবার সে মুসাফির। আর মুসাফির অবস্থায় দোয়া কবুল হয়।
তদুপরি সে এমন স্থানে গিয়ে দোয়া করছে,যে স্থানের দোয়া ফিরত আসে না।
মোট কথা:দোয়া কবুল হওয়ার বাহ্যিক উপকরণ উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তার দোয়া কবুল হচ্ছে না কেন??
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দৃষ্টিতে তার দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ হলো,হারাম পন্থায় জীবীকা অর্জন করা।
এ কথাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে বলেন:তার আহার্য্য হারাম,তার পানীয় হারাম,তার পরিধেয় বস্ত্র হারাম।সুতরাং তার দোয়া কিভাবে কবুল হবে???
অতএব বুঝা গেল দোয়া কবুল হওয়ার জন্য হালাল বা বৈধ পন্থায় জীবন-যাপন করা অপরিহার্য।
এজন্য বলা হয় দোয়ার দুটি ডানা আছে,
“একটি হল হালাল ভক্ষণ অপরটি সত্যবাদীতা।
والله اعلم بالصواب