(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
শুধু নিয়ত করলেই কুরবানী দাতার কুরবানী ওয়াজিব হয়ে যায় না।
কুরবানীর মান্নত করলে কিংবা কুরবানীর উদ্দেশ্যে পশু ক্রয় করলে তখনই কেবল কুরবানী ওয়াজিব হয়। ধনীদের বেলায় সর্বসম্মতিক্রমে এটাই শরীয়তের হুকুম।
কিন্তু দরিদ্র ব্যক্তিরদের ক্ষেত্রে মতবিরোধ রয়েছে। পছন্দনীয় মত হলো, দরিদ্র যদি কুরবানীর দিনসমূহের মধ্যে কুরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করে,
তাহলে তার উপরই কুরবানী ওয়াজিব হবে; যদিও মুখে মান্নত না করে থাকে। এর উপরই ফতওয়া।
আর যদি পশু ক্রয় করার সময় কুরবানীর নিয়ত না করে থাকে, তাহলে সকলেই ঐক্যমতে ওয়াজিব হবে না।
মাসআলা:
যদি কোন ব্যক্তি মাইয়্যেতের আদেশে (অর্থাৎ তার অসিয়ত মোতাবেক) কুরবানী করে, তাহলে কুরবানী দাতার জন্য উক্ত পশুর,
গোশত খাওয়া জায়েজ নয় (বরং সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব) । আর যদি মাইয়েতের অসিয়ত ব্যতীত কুরবানী করে, তাহলে তার গোশত নিজে খাওয়াও জায়েজ আছে।
একত্রে কুরবানীর জন্তু ক্রয় করলে এর হুকুম কি?
চৌদ্দজন মুসলমান যদি শরীকানায় দুইটি উট বা গরু কুরবানী করে তাও জায়েজ আছে।
অন্যের অনুমতি ছাড়াই তার পক্ষ থেকে জবাই করলে এর হুকুম কি?
কোন ব্যক্তি যদি নিজের বকরী অন্যের পক্ষ হতে তার আদেশ ছাড়াই কুরবানীর নিয়তে জবাই করে, তবে উক্ত ব্যক্তির পক্ষ হতে কুরবানী আদায় হবে না।
কুরবানীর পশু জবাই কে করবে?
জবাইয়ের নিয়মকানুন জানা থাকলে যার কুরবানী তার নিজের হাতে জবাই করাই উত্তম।
তবে জবাই করতে না জানলে অপরের সাহায্য নিতে পারবে এবং নিজে জবাইয়ের স্থানে উপস্থিত থাকবে।
ইহুদী-খৃষ্টান, অগ্নি পূজক, মূর্তিপূজক ও মুরতাদদের দ্বারা জবাইকৃত প্রাণীর হুকুম কি?
ইহুদি-খৃষ্টানদের জবাই করা জানোয়ার মাকরূহ এবং অগ্নিপূজক ও মূর্তিপূজকদের জবাই করা জানোয়ার হারাম।