(মুসলিমবিডি24ডটকম)
একজন হতদরিদ্র ব্যক্তি মাছ নিয়ে পথ চলছিল। এক সিপাহি তা দেখে মাছটির জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
ঘরে নিয়ে এসে যখন সে মাছটি কাটতে শুরু করে, তখন হঠাৎ মাছের একটি কাটা তার হাতে বিধে যায়।
এতে হাতের আঙ্গুল একটি সামান্য ছিড়ে যায়। পরে তা যখমে রূপ নেয়, এমনকি আঙ্গুলটি পচে যায়। অনেক চিকিৎসার পরও পচন আরও ছড়াতে থাকে।
শেষ পর্যন্ত আঙ্গুলটি কেটে ফেলতে হয়। এরপরও তার নিস্তার মিলল না, সেই যখমের জীবাণুতে তার অন্যান্য আঙ্গুল ও হাতে পচন ধরে।
এতেও সে অনেক চিকিৎসা করায়, কিন্তু ফলাফল শূন্য। বচন বাড়তেই থাকে।
অবশেষে পচনরোধে তার কবজি পর্যন্ত হাত কেটে ফেলতে হয়।
এরপরও কবজি থেকে আবার যখন হাতে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে,
এবং এই পচন যাতে তার পুরো শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে এই জন্য সম্পূর্ণ হাতটি কেটে ফেলতে হয়।
তখন আল্লাহর এক নেক বান্দা তার দুরার্বস্থার কথা জানতে পেরে বলেন,
এতদিন ধরে এভাবে একের পর এক হাত কাটার শাস্তি কেন তুমি ভোগ করছো?
যার কাছ থেকে মাছ ছিনিয়ে নিয়েছিলে সেই মাজলুমের কাছে ক্ষমা চাও। যাতে তোমার মুক্তি মিলে।
তারপর সেই মজলুম ব্যক্তিকে সে খুঁজে বের করে এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
সে তাকে মাফ করে দিলে অতি দ্রুত সে সুস্থ হয়ে ওঠে।
সুতরাং কারো প্রতি জুলুম করা অত্যন্ত খারাপ কাজ।
এক হাদীসে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন
اتقي دعوه المظلوم তোমরা মজলুমের বদ দোয়া হতে বেঁচে থাকো।
অন্য এক হাদীসে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন
الظلم ظلمات يوم القيامه জুলুম কেয়ামতের দিন ভয়াল এক অন্ধকারে রূপ নেবে।
জুলুমের অশুভ পরিনাম কেবল মানুষ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে না, এটা পশু পাখি পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে।
জুলুমের কারণে পশুপাখি জীর্ণশীর্ণ হয়ে মরে যায়।
মজলুমের বদদুয়ার কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে বৃষ্টির ধারা বন্ধ হয়ে যায়,
আর এই কারণে জমিনের সাথে সজীবতা হারিয়ে যায়।
শুষ্কতা আবহাওয়া দূষিত করে তুলে। তখন এসব পশুপাখি শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে খাবারের অভাবে মারা যায়।