Breaking News
Home / ইসলামিক গল্প / যে মুসলিম কীর্তির কথা আজ কেউ স্মরণ করে না

যে মুসলিম কীর্তির কথা আজ কেউ স্মরণ করে না

(মুলিম বিডি ২৪ ডট কম)

যে মুসলিম কীর্তির কথা আজ কেউ স্মরণ করে না

যে কীর্তির আজ কেউ স্মরণ করে না

-হাতিম আল-ফেরদৌসী

মুহাম্মাদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয়ের কথা কারোর অজানা নয়।

আরবের পূর্বাঞ্চলীয় গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের হাতে

ভারতের এক নির্যাতিতা হিন্দু রমণীর রক্তে লিখা পত্র পৌঁছার পর

মুসলিম মনীষী হাজ্জাজের দেহস্থিত সত্য-ন্যায়ের রক্তস্রোত নতুন করে স্পন্দিত হতে লাগলো।

হাজ্জাজ শুরু করেন ভারত অভিযান।

 

পর পর দুটি অভিযান ব্যার্থ হয়ে যাওয়ায় হাজ্জাজ বিন ইউসুফ নিজ জামাতা

সতেরো বছরের তরুণ সেনাপতি মুহাম্মাদ বিন কাসিমকে পাঠান।

তিনি সিন্ধুরাজা দাহিরকে পরাজিত করে আরো অগ্রসর হয়ে

পাঞ্জাবের মুলতান পর্যন্ত মুসলিম কর্তৃত্ব বিস্তার করেন।

তখন ছিলো ৭১২ খৃস্টাব্দ।

মুসলিম এই বীর সেনাপতির হাত ই শুরু হয় উপমহাদেশে ইসলামি শাসনের সূচনা।

মুহাম্মদ বিন কাসেম বিজিত অঞ্চলগুলোতে নির্মাণের প্রতি খেলায় দেন।

হাজ্জাজ বিন ইউসুফের অনুমতিক্রমে

বেশ কতগুলো মসজিদ নির্মাণ করে সেগুলোতে েরও ব্যবস্থা করেন।

 

   ভারতে সর্বপ্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়!

মুসলিম হিসেবে এই কৌতূহল জাগারই কথা।

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায়ই ধর্মপ্রচারকগণ

ইসলামের কালেমা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন।

অসম্ভব নয় হয়তো ওইসব মনিষীদের কেউ না কেউ

ইসলামী শাসন ব্যবস্থা শুরু হওয়ার আগে

উপমহাদেশে কোনো মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন যা আমাদের জানা নেই।

তবে ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনামলে সর্বপ্রথম যে শাসক মসজিদ নির্মাণ করেন

 তিনি মুহাম্মদ বিন কাসেম

” সুলতানী আমলে মুসলিম স্থাপত্যের

গ্রন্থে ড. মুহাম্মদ মোখলেছুর রহমান ঐতিহাসিক বালাজুরির উদ্বৃতি দিয়ে বলেন__

“মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধুর দেবল বন্দরে চার হাজার আরব মুসলমানদের বসবাসের জন্য

একটি এলাকা নির্দিষ্ট করে সেখানে ভারতের প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।”

বালাজুরির বর্ণনা থেকে জানা গেলো,

উপমহাদেশে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা শুরুর পর সর্বপ্রথম মসজিদ এটাই ছিলো।

উপমহাদেশে মুসলিমদের সেই দন্য দিনে যে মসজিদটি ছিলো সর্বপ্রথম,

একই সাথে চার হাজার মুসলিমদের ইবাদাতগাহ;

একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এটি ছিলো মুহাম্মদ বিন কাসিমের অমরকীর্তিগুলোর একটি।

দুঃখের বিষয়, সে মসজিদটির অস্থিত্ব আজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

এমনকি ইতিহাসের অন্ধকারে হারিয়ে গেছে মসজিদটির নামও।

তবে ইদানিং প্রত্নতাত্ত্বিক খননের ফলে সেসব স্থাপনার কিছু ভগ্নাংশ পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।

আরো পড়ুন

হিজরতের সময় নবীজি স. যে সকল রাস্তা ব্যবহার করেছিলেন, সবচেয়ে বড় ইবাদতকারী হওয়ার পদ্ধতি 

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Check Also

হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ রা.

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম) হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ রা. একজন মহিলা সাহাবি। একবার তিনি হুযুর সা. এর খেদমতে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost