(Muslimbd24.com)
হাদিয়া ও ঘুষ এক নয়, হাদিয়া ও ঘুষের মধ্যে পার্থক্য বিরাট।
হাদিয়া বা উপহার দেওয়ার নিয়তের মধ্যে পারস্পরিক মহব্বত ছাড়া পার্থিব কোন স্বার্থ হাসিল বা কোনরূপ সাহায্য পাওয়ার আশা থাকে না।
পক্ষান্তরে ঘুষ দেওয়ার উদ্দেশ্য হয় কোন স্বার্থ হাসিল করা বা সাহায্য পাওয়া।
সাধারণত কর্তব্যরত কোন ব্যক্তির নিকট থেকে কাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিছু দেওয়া ঘুষের পর্যায়ে ভুক্ত।
এ প্রসঙ্গে হাদিস বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইসলামী রাষ্ট্র গুলো থেকে সদকা/ কর আদায়ের উদ্দেশ্যে এক ব্যাক্তি কে নিয়োজিত করেন,
তার নাম ছিল ইবন্ লুতবিয়্যা তিনি ফিরে এসে বললেন এগুলো আপনাদের আর এগুলো আমাকে হাদিয়া স্বরূপ দেওয়া হয়েছে…!
এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিতে গিয়ে আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনা পূর্বক বললেন যে,
আল্লাহ তাআলা আমার উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন
তা পালন করার জন্য আমি তোমাদের মধ্য থেকে কোন কোন লোককে নিয়োজিত করি,
আর তাদের মধ্য থেকে কেউ এসে বলে এগুলো আপনাদের আর এগুলো আমাকে হাদিয়া স্বরূপ দেওয়া হয়েছে!
সে তার বাবার ঘরে বসে থাকলো না কেন? তখন দেখতে পেত তাকে হাদিয়া দেয়া হয় কিনা?
সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ!
এক্ষেত্রে কেউ যদি কিছু গ্রহণ করে তবে সে তা তার নিজ ঘাড়ে বহন করে কেয়ামতের ময়দানে উপস্থিত হতে হবে (নাউজুবিল্লাহ!! )
মোটকথা ঘুষকে হাদিয়া বা অন্য কোন নামে আখ্যায়িত করলেও তা ঘুষ বলেই গণ্য হবে।
হাদিয়া আদান প্রদানের মাধ্যমে আন্তরিকতা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়,
সুতরাং পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান একটি উত্তম রীতি।
তবে এর মাধ্যমে দুনিয়ার কোন স্বার্থ লাভের আশা করা যাবে না,
কেবলমাত্র পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য হাদিয়া দান প্রধান বাঞ্ছনীয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের একে অপরকে হাদিয়া দেয়ার মন মানসিকতা তৈরি করার তৌফিক দান করুন আমীন।