(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর অভিভাবক ও আত্মীয় স্বজনের পক্ষ হতে আনন্দ প্রকাশ করা এবং শুভ সংবাদ জানানো মুস্তাহাব। পিতা মাতার সাথে সাথে আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশীর পক্ষ থেকেও আনন্দ প্রকাশ করা মুস্তাহাব।
তৎক্ষণ আনন্দ প্রকাশ করা সম্ভব না হলে পরে নবজাতক ও তার পিতা মাতার জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব। হিজরতের পর মুহাজির সাহাবীদের প্রথম সন্তান ছিলেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু!
তাঁর জন্মের পর পর মুহাজির সাহাবীগণ আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। (সিরাতুন্নবী ১/২৯৮) শিশু জন্মগ্রহণ করার পর কিরূপ আনন্দ প্রকাশ করবে। এ ব্যাপারে আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি নিজ কিতাব
তুহফাতুল মাওদুদ ফি আহকামিল মাওলুদ এ একটি রেওয়ায়াত বর্ণনা করেছেন, হযরত আবু বকর ইবনু মুনযির রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:-
আমি হযরত হাসান বাসরী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে দেখেছি, তাঁর কাছে একজন লোক আসলো, তাঁর সাথে আরেকজন লোক ছিল। এই লোকটির সাথে তার এক নবজাতক শিশুও ছিল।
তারপরও উক্ত লোকটি জিজ্ঞেস করলো যে, শিশুর জন্মগ্রহণের পর আমরা কিভাবে আনন্দ প্রকাশ করব? হযরত হাসান বাসরী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন:- তুমি এভাবে বলো আল্লাহ তাআলা তোমাকে যে সন্তান দান করেছেন
তার হায়াতে বারাকাহ্ দান করুন। আর সন্তানদাতা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে।
এ আনন্দ প্রকাশ ছেলেমেয়ে উভয় সন্তানের ক্ষেত্রে করা উচিত।
আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীর বাসায় মিষ্টান্ন প্রেরণ করা জায়েজ। এর দ্বারা পরস্পরের মধ্যে সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি হয় এবং হিংসা বিদ্বেষ দূর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে শর্ত হল,
একে যেন রুসম ও অবশ্য পালনীয় কর্ম হিসেবে পালন করা না হয়। এছাড়া ইহা করতে গিয়ে অযাচিত ধার দেনার সম্মুখীন হতে না হয়। (তারবিয়াতুল আওলাদ ফিল ইসলাম ১/৬৮)