(Muslimbd24.com)
মানুষ যখন দোয়া করে অত:পর সে যা চাইছে ঠিক তাই না পায় তখন এলোমেলো লাগে।
খেয়াল করে দেখুন, আমি একথা লিখিনি যে:
মানুষের যখন দোয়া কবুল হয় না তখন এলোমেলো লাগে; বরং লিখছি তখন যা চাইছে ঠিক তাই না পায়।
এর কারণ হলো দোয়ার আদব মেনে করা সব দোয়াই কবুল হয়, হয়তো সে যা চাচ্ছে ঠিক তাই পায়,
নয়তো তার জন্য তার চাওয়া জিনিসের চেয়ে ভালো কিছু পায়,
অথবা সেই দোয়া হাশরের মাঠের জন্য জমা হয়ে থাকে সেই প্রতিদান আল্লাহ তাকে ওখানেই দিবেন।
হাশরের ময়দানে দোয়ার বিশাল বিনিময় দেখে মানুষ আফসোস করবে,
আহ্ দুনিয়ায় যদি আমার কোন দোয়াই কবুল না হতো!!! কিন্তু মানুষ তো আসলে এজন্যই দোয়া করে যে সে যা চাচ্ছে তাই যেন তখনই পায়।
বস্তুত কৃতজ্ঞ হৃদয় আমাদের সবারই কাম্য, সবরকারী হৃদয়ের চেয়ে।
কারণ সবর কষ্টকর, আল্লাহর বিশেষ রহমত ও খুব শক্ত মন না হলে সবর করতে গিয়ে হতাশ হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক।
আর হতাশ হওয়া তো কখনো মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না, আর জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত মুমিন থাকতে না পারলে
হাশরের মাঠে দুনিয়ায় কবুল না হওয়া দুয়ার বিনিময় গ্রহণ করা যাবে কিভাবে?
এখন আমরা জানবো, কেমন বাক্য ও শব্দে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলে আশান্বিত ফলাফল পাওয়া যাবে।
আর এই জন্য যে ভাষায় দোয়া করবো সেই ভাষা জ্ঞান খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
যাতে আমরা আমাদের সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত শব্দে আল্লাহর সাথে কথা বলতে পারি।
কেননা কি বলছি তা গভীরে গিয়ে বুঝতে পারলে অন্তরের দৃঢ়তা ও বৃদ্ধি পাবে যে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করবেন ই।
ধরুন আপনি দোয়া করছেন অসুস্থ মানুষের জন্য অথবা নিজের সুস্থতার জন্য,
তাহলে দোয়ার আগে আল্লাহকে ডাকুন ইয়া শা—ফী বলে,
অর্থাৎ হে আরোগ্যদাতা/ সুস্থতা দানকারী আমাকে সুস্থ করে দাও!
মোটকথা: দোয়ার সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে উপযুক্ত শব্দে আল্লাহকে ডাকা ‘ইয়া লতিফু' বলে দোয়া করুন, এর অর্থ হল হে সূক্ষ্ম দর্শী।
আপনি জানেন না ঠিক কোত্থেকে কিভাবে কখন কাকে অসুস্থতায় পাকড়াও করতে পারে, কিন্তু আল্লাহ সবকিছু ই জানেন।
অথবা আপনি কোন সিদ্ধান্তহীনতা কিংবা দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছেন,
তখন আল্লাহর কাছে দোয়া করুন ইয়া হাদী অর্থাৎ হে পথপ্রদর্শক আমাকে ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য কর।
শেষ রাতের সেজদায় বারবার বলুন ‘হে আল্লাহ আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন,
গুনাহের ছোট্ট অংশ,বড় অংশ, আগের গুনাহ, পরের গোনাহ, প্রকাশ্য গুনাহ গোপন গুনাহ সবগুলো মাফ করে দিন'
যে গুনাহের ব্যাপারে মনে হয় যে এত খারাপ কাজ কি আল্লাহ মাফ করবেন?
সেই গুনাহের জন্যও দোয়া করুন, বিশ্বাস রাখুন আল্লাহর রহমতের চেয়ে বেশি পরিমাণ গুনাহ করার সাধ্য আপনার নেই।
আল্লাহ তাঁর পবিত্র কালামে পাকে বলেন:
“আর যে ব্যক্তি কোন খারাপ কাজ করে অথবা নিজের উপর জুলুম করে,
অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সে আল্লাহ কে ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু হিসেবেই পায়”।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে দোয়া করার তাওফিক দান করুন আমীন।