বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সমস্ত প্রশংসা রাব্বুল আলামিনের যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন।
দুরুদ বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর,
এবং তার সাহাবী ও পরিবারবর্গের উপর।
সুপ্রিয় পাঠক/পাঠিকা
আসসালামুআলাইকুম
আজ আমি আপনাদের সম্মুখে,
গীবতের ভয়াবহতা সম্পর্কে সামান্য আলোচনা করব।
আল্লাহ তাআলা যদি তৌফিক দান করেন।
গীবত সম্পর্কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“গীবত ব্যভিচার থেকেও কঠোরতম”
গীবত কাকে বলে
অন্যের অনুপস্থিতিতে তার এমন দোষ চর্চা করা যা শুনিলে সে কষ্ট পাবে তাকেই গীবত বলে।
এই সংজ্ঞা অনুযায়ী আজকের সমাজে এর প্রবণতা শিশু থেকে
বৃদ্ধ সকল শ্রেণীর লোকের মধ্যেই বিরাজমান।
আজ আমরা গীবতের মত জঘন্যতম একটি অপরাধকে অপরাধ-ই মনে করি না।
অথচ হাদিসে এটিকে যীনার থেকেও কঠোরতম বলা হয়েছে।
আমরা সকলেই জানি ব্যভিচারের শাস্তি কোরআনে নির্ধারিত রয়েছে।
শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বিবাহিত নারী পুরুষ ব্যভিচারে
লিপ্ত হলে রজম করে মেরে ফেলা।
অবিবাহিত নারী পুরুষ ব্যভিচারে লিপ্ত হলে জজর।
তাহলে গীবতের শাস্তি কি
গীবতের শাস্তি কুরআনে আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে।
হাদিসে গীবতের শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে গীবতকারী ব্যক্তির,
গীবতের ভয়াবহতাঃনঙ্গে আসলাফ আফজাল
সকল নেকী যার গীবত করা হয়েছে তার আমলনামায় দিয়ে দেওয়া হয়।
গীবতের মন্দ পরিণতি মুহা:ইলিয়াস বিন শহিদুল্লাহ
অতএব আমি বলব যদি গীবত করতেই হয় তাহলে আপন মা-বাবার গীবত করুন।
এতে আপনার জীবনের সমস্ত নেকি আপনার মা-বাবা পেয়ে যাবেন।
এবং তারা পরকালীন জীবনে শান্তিতে বসবাস করবেন।