(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
الحمد لله و الصلوة والسلام علي رسول لله اما بعد
সুপ্রিয় পাঠক /পাঠিকা আসসালামু আলাইকুম।
সম্প্রতি ঢাকা রাজধানীর পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জের এক তরুন,
তার বাবার মৃত্যুর দু বৎসর পরে সে তার মায়ের বিয়ের জন্য পাত্র চেয়ে
ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
ঘটনা গণমাধ্যমে উঠে আসার পর অনেকেই প্রশংসা করলেও কেউ কেউ ট্রলও করছেন।
আমার কাছে মনে হয়েছে এই ঘটনা কিছু কিছু কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কিছু তাৎপর্যপুর্ন।
সেজন্য সেটিকে সামনে রেখেই কয়েকটি কথা বলতে চাই ওয়ামা তাউফিকি ইল্লা বিল্লাহ।
শুরুতে আমি সেই তরুনকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে মোবারকবাদ জানাতে চাই,
যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহন করার জন্য।
আমাদের সমাজের সাধারণ নিয়ম হল
বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তাদের বিয়ের বিষয়টিকে সমাজ নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে।
সমাজের অন্যান্য মানুষ তো বটেই,
খুদ সন্তানরা নিজেদের স্বার্থের কারনে বাবা কে মা'কে দ্বিতীয় বিয়ের ব্যপারে নিরুৎসাহিত করা
বা উদ্যোগ গ্রহন করলে এটা নিয়ে সমালোচনা করা এটা নিতান্তই মুর্খতা ছাড়া কিছুই নয়।
তারা তাদের যেকোনো বয়সে এসে সঙ্গীহারা হয়ে যান,
তখন তার জীবনের অবশিষ্ট সময় একাকি কাটানো এটা তার জন্য যে কত কষ্টের আর যন্ত্রণার
সেটি আমাদের সমাজের বেশির ভাগ মানুষ বুঝার চেষ্টা করেন না।
সন্তানদের উচিত বাবা কিংবা মা এই পরিস্থিতির শিকার হলে,
তাদের আপত্তি না থাকলে নিজেরাই তাদের ব্যপারে উদ্যোগ গ্রহন করা।
অতএব কেরানীগঞ্জের এই যুবক এই ক্ষেত্রে আমাদের আদর্শ হতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে আমি বলব বাবা কিংবা মা'র বিয়ে উদ্যোগ গ্রহন করে
আমাদের এমন কোন কাজ করা যাবে না, যা আমাদের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় না বা শরিয়া এলাউ করে না।
যেমন মায়ের বিয়ের ব্যপারে পাত্র চেয়ে মায়ের ছবি আপলোড করা। এগুলো থেকে বিরত থাকে অপরিহার্য।
তাই এমন কোন মহিলা স্বামী হারা হয়ে যান বা কোন পুরুষ স্ত্রী হারা হয়ে যন যেকোন কারণে হউক,
তাদের বিয়ের উদ্যোগ গ্রহন করাকে আমাদের স্বাগত জানানো উচিত।
আমাদের নাবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তা বিয়ে করেছেন।
সাহাবায়ে কেরামদেরকে উৎসাহিত করেছেন।
অতএব আসুন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই পুরুষ হউক কিংবা নারী ,
সঙ্গী হারা হয়ে গেলে তাদের বিবাহের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
আরো পড়ুন👇
নারী সমাজ কেন আজ নির্যাতিত,
সিলেটে অবিবাহিতের হার বেশি হওয়ার নেপথ্যে কারণ কি, বউ শাশুড়ির ঝগড়া কারণ ও প্রতিকার