নতুন ‘আদমশুমারির' পরিসংখ্যানে দেখা গেছে অবিবাহিত নারী-পুরুষের হার সিলেটে বেশি৷
অবিবাহিতদের সংখ্যা বেশি মানে গোনাহের মাত্রা বেশি৷ বিষয়টা কিন্তু আশঙ্কার!
বিয়ের ক্ষেত্রে কয়েক রকমের বাধা আছে সমাজে৷
কিছু বাধা সব জায়গায় আছে৷ কিছু বাধা সিলেটকেন্দ্রিক৷
এক. ছেলে-মেয়ে চাইলেও অভিভাবকরা বিবাহে আগ্রহী না৷
বরং বিয়ের প্রয়োজনের কথা জানালে নানা কথা বলে গোনাহ থেকে বাঁচতে ইচ্ছুক যুবক-যুবতীদের কোণঠাসা করে রাখা হয়৷
খাওয়াবে কে? এই প্রশ্ন সামনে আনা হয়৷ আবার তারাই বলেন রিযিক আল্লাহর হাতে৷
দুই. অভিভাবকরা চাইলেও ছেলে-মেয়ে বিয়ে করতে চায় না৷
তারা ক্যারিয়ার গড়ার শয়তানি ধোকায় প্রতারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত৷
অথচ বিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে বাধা নয়, বরং ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক৷
তিন. সামাজিক বাধা৷ বড় ভাই হয়ত প্রবাসে আছে৷
দেশেও আসা হচ্ছে না৷ বিয়েও করা হচ্ছে না৷ কিংবা বড় ভাই দেশেই আছেন৷
বস্তুবাদি চিন্তায় বিয়ে করছেন না৷ এদিকে ছোট ভাই বড় ভাইয়ের অপেক্ষায় বুড়ো হচ্ছে৷
গোনাহের আশঙ্কায় কষ্টে আছে৷
ছোট ভাই বড় ভাইয়ের আগে বিয়ে করলে নাকি সমাজ কী বলবে?
এই আশঙ্কায় অভিভাবক বিয়ে করাতে চায় না৷
এই সমস্যাটা সিলেটে বেশি৷ আরো কিছু সামাজিক বাধা আছে৷
চার. মেয়েকে বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রেও অভিভাবকরা উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছেন৷
উপযুক্ত জায়গা থেকে প্রচুর আলাপ এলেও পড়াশোনা শেষ করার অজুহাতে বিয়ে দেন না৷পরে আর আলাপও আসে না৷
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন যে,ছেলে হোক বা মেয়ে ২৮/৩০ বছর বয়সের আগে পড়াশোনা শেষ হয় না৷
পাঁচ. খরচ বাড়িয়ে বিয়েটা কঠিন করা হয়েছে৷
অধিকাংশ খরচই অনর্থক, অপচয়৷ এই অনর্থক খরচের ব্যাপারটা সিলেটে বেশি৷
আরো অনেক কুসংস্কার আছে, জাহিলিয়াত আছে, যার কারণে বিয়েটাকে কঠিন করা হয়েছে৷
বিয়ের ক্ষেত্রে যত বাধা আছে, দূর করতে হবে৷
সহজ করতে হবে৷ না করলে অপরাধপ্রবণতা বাড়বে৷ অশান্তি সৃষ্টি হবে৷
এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে৷
আরো পড়ুন
বিবাহের সময় যা যা পালনীয়, একাধিক বিবাহের প্রয়োজনীয়তা, অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের নামাজের ফজিলত, বিবাহ ও দাম্পত্য জীবন।