বন্ধকী পণ্য বা বস্তু দ্বারা উপকৃত হওয়া বৈধ নয়। বর্তমান সমাজে বহুল প্রচলিত বিষয় হলো বন্ধক। বন্ধক হলো
ঋণদাতার নিকট ঋণগ্রহীতা জায়গা জমি বা স্বর্ণ রুপা ইত্যাদি বন্ধক রাখে সে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। আর ঋণদাতা
বন্ধক রাখা জিনিস দ্বারা বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়। এটি শরীয়তে জায়েজ নয়। ইসলামী বিধান অনুযায়ী বন্ধকী
বস্তু জামানত হিসেবে বিবেচিত হয়। বন্ধক রাখার পরেও ওই বস্তুটি পূর্বের মালিকের মালিকানায় রয়ে যায়। তাই
ঋণদাতা বন্ধকী বস্তু দ্বারা কোন প্রকার উপকৃত হতে পারবে না। কারণ সে যদি এর দ্বারা উপকৃত হয় তাহলে তা
ঋণের বদলায় ঋণ হয়ে যায় যা শরীয়তে নিষিদ্ধ। যদি মালিকের পক্ষ থেকে উপকৃত হওয়ার অনুমতি দেয়া হয়
যাকে শরীয়তের পরিভাষায় মোতাবেক বলা হয়। মোতাকাদ্দিমিনের মতে সেটা জায়েজ হলেও বর্তমান সমাজে
এটা এক ধরনের শর্তানুযায়ী হয়ে থাকে বিধায় তা জায়েয নয়। কেননা শরীয়তের নীতি হলো: সমাজ প্রথা শর্তের
পর্যায়। কারণ বর্তমান সমাজে উপকৃত হওয়ার সুযোগ ছাড়া কেউ কাউকে ঋণ দেয় না বা দিবেও না। যেহেতু ঋণ
দেওয়াটা প্রকৃতপক্ষে ঋণগ্রহীতার কাছে তার বস্তু দ্বারা উপকৃত হওয়ার শর্ত করা হলো অতএব তা ঋণের বদলা
ঋণ হয়ে গেল যা শরীয়তে নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন:-