(মুসলিম বিডি24ডটকম)
৫ই মে নৃশংস গণহত্যা ২০১৩ সাল বাংলার ইতিহাসে কালো এক অধ্যায়…
এই দিনে উত্তাল ছিল ঢাকার রাজপথ, আগের দিন সব যান চলাচল ও নৌপথ বন্ধ ছিল।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দাঃ বাঃ) হযরতজী ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের চতুর্দিক থেকে লাখো লাখো মানুষ খুব ভোরেই জমায়েত হয়।
শুরু হয় ইসলামের বিজয়ের সূচনা।
বাংলাদেশের দেশবরেণ্য আলেম-ওলামা ১৩ দফা দাবী নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে কিন্তু ১দফা দাবীও পূরণ হয়নি,
হয়েছে মুসলমান জাতির সাথে প্রতারণা ৫ই মে রাতের আধারে সরকার কতৃক নিরীহ নবী প্রেমিক মানুষের উপর চালানো হয়েছিল অমানুষিক নির্যাতন,
রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ নিভিয়ে চালানো হয় গণহত্যা, তৈরী হয় ৬ই মে শহীদ দিবস।
এই ইতিহাস কখনো ভুলার নয়, মুসলমান জাতি কখনো ভুলতে পারে না,
ভুলে গেলেও কালো আধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জে রক্তে রঞ্জিত হওয়া সাধারণ মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষ কখনোই ভুলবেনা।
আজও শাপলা চত্বরে আমার ভায়ের শহীদি রক্তের ঘ্রাণ পাওয়া যায়,
আমার ভাইয়ের করুণ আর্তনাদের সুর ভেসে আছে, হাহাকার, কান্না,
অশ্রু ভেজা চোখগুলো আজো মনে পড়ে যায়। এখনো এই নিশংস হত্যার কথা মনে পড়লে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় চোখে অশ্রুর নদী বয়ে যায়,
জানিনা বেঁচে থাকা অবস্থায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে পারব কিনা, দোয়া করি আল্লাহ যেন আমার এই মনের আশাটা পূর্ণ করেন।
ইনশাআল্লাহ একদিন আমার আল্লাহ নিশ্চয়ই এই বিচার করবেন, কারণ তিনি যালেমদের কে ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।
কাদিয়ানীদের কে অমুসলিম ঘোষণা করা বাংলাদেশের পক্ষে কেন অসম্ভব
আল্লাহ বলেন ‘আমি জালিমদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি অগ্নি,
যার বেষ্টনী তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রাখবে, তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে দেয়া হবে গলিত ধাতুর মতো পানীয়,
যা তাদের মুখমণ্ডল বিদগ্ধ করবে, এটি কত নিকৃষ্ট পানীয়, জাহান্নাম কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়।'
(সূরা কাহফ; ২৯)
সালাম বা কদমবুচি একই জিনিষ নয়
হে আল্লাহ আপনি আমার শহীদ ভাইদের কে কবুল করে নিন, তাদের পরিবারকে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ দান করুন,
তাদেরকে অধিষ্ঠিত করুন জান্নাতের উচ্চ মাকামে, যেই অঙ্গীকার আপনি করেছেন, হে আল্লাহ আমাকে আপনি কবুল করে নিন। আমীন সুম্মা আমীন।
♦চলবে….