(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
জান্নাতে যাওয়ার পূর্ব শর্ত হলো ঈমান
মানব জাতির আসল ঠিকানা হলো জান্নাত। জান্নাতে যেতে হলে সর্বপ্রথম শর্ত হলো ঈমান থাকা।ঈমান ছাড়া কোন মানুষ জান্নাতে যেতে পারবে না।
আরো পড়ুন👉ইমানদারগণই সর্বদা বিজয়ী
যদি সে গোনাহগার হয় আর শরীষার দানা পরিমাণ ঈমান ও তার অন্তরে থাকে,
তাহলে গুনাহের শাস্তি ভোগ করার পর একদিন না একদিন সে ঈমানের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।
আরো পড়ুন👉আল্লাহ তাআলার ক্ষমা প্রাপ্তি ও গুনাহ মাফির দশটি মাধ্যম
এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলিয়াছে,
একদিন না একদিন এই কালেমা অবশ্যই তাহার উপকার করিবে। ( নাজাত দান করিবে) যদিও পূর্বে তাহাকে কিছুটা শাস্তি ভোগ করতে হয়। তারগীবঃ ২/৪১৪.
আরেক হাদিসে তিনি বলেনঃ যখন কেয়ামতের দিন হইবে তখন আমাকে সুপারিশ করার ইজাযত দেওয়া হইবে।
আমি আরজ করিব, হে রব! এরুপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে জান্নাতে দাখিল করিয়া দিন যাহার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান ও রহিয়াছে।
আরো পড়ুন👉ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ
আর ঐ সমস্ত লোক জান্নাতে দাখিল হইয়া যাইবে।পুনরায় আমি আরজ করিব,
এরুপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে জান্নাতে দাখিল করিয়া দিন যাহার অন্তরে সামান্য পরিমাণও ঈমান রহিয়াছে।
সুতরাং রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস দ্বারা বুঝা গেল যে, যার অন্তরে নুন্যতম ঈমান ও থাকবে সে জান্নাতে যেতে পারবে।
তাই জান্নাতে যেতে হলে নুন্যতম পরিমাণ ঈমান থাকতে হবে। যদি সেই পরিমাণ ঈমান ও না থাকে তাহলে সে কোন দিন ও জান্নাতে যেতে পারবে না। বোখারী
কিন্তু আফসোস হলো বর্তমানে এমন অনেক মুসলমান ভাই আছেন যাদের অন্তরে হয়তো নুন্যতম পরিমাণ ঈমান ও থাকেনা।
আরো পড়ুন👉 ঈমান কী
কারণ হলো যেভাবে নামায ভঙ্গের কারণ আছে, রোজা ভঙ্গের কারণ আছে, উযু ভঙ্গের কারণ আছে তেমনিভাবে ঈমান ভঙ্গের ও কিছু কারণ আছে।
অর্থাৎ এমন কিছু কথাবার্তা ও এমন কিছু কাজ আছে যে গুলো একজন ঈমানদার ব্যক্তি করলে তার ঈমান ভেঙ্গে যায় অর্থাৎ তার ঈমান চলে যায়।
তাই একজন ঈমানদার ব্যক্তির জন্য কি কথা বললে এবং কি কাজ করলে ঈমান চলে যায় সে গুলো জানা আবশ্যক।
এই জন্য ঈমান ভঙ্গের কারণ গুলোকে পিকচার আকারে নিম্নে উল্লেখ করলাম। যাতে প্রত্যেকেই এটাকে নিজের সংরক্ষণে রাখতে পারেন।
মাশা আল্লাহ
জাযাকাল্লাহ