(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
সাধারণতঃ বন্ধু-বান্ধব ও আত্নীয়-স্বজনের মধ্যে বাকি লেনদেনের বিষয়টি লিখে রাখা ও এব্যাপারে সাক্ষি রাখাকে দূষণীয় এবং অনাস্হার দলীল
মনে করা হয়। কিন্ত আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেছেন যে, বাকি লেনদেন এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তাবলী লিখে রাখা উচিত
এবং এ ব্যাপারে সাক্ষিও রাখা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কোনোরূপ কলহ সৃষ্টি না হয়। কুরআন নাজিলের জামানায় লেখার প্রচলন ততটা ছিল না,
শিক্ষিত মানুষ কমই পাওয়া যেত। কাজেই তখন সম্ভাবনা ছিল যে, লেখকের যা মন চায় তাই লিখে দিবে। ফলে কারো ক্ষতি এবং কারো উপকার সাধিত হবে।
এ কারণেই আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন যে, যে লিখবে এবং যে লিখাবে উভয়ের অন্তরে আল্লাহর ভয় রাখা জরুরি। শুধু চুক্তিনামা লিখাই যথেষ্ট নয়।
বরং সে ব্যাপারে সাক্ষিও বানাতে হবে। যাতে দ্বন্দ্বের সময় আদালতে তাদের সাক্ষ্য দ্বারা হাকিম রায় দিতে পারেন। এ কারণেই শুধু লেখনি বা চুক্তিনামা
শরয়ী দলিল নয় যতক্ষণ পর্যন্ত উক্ত ব্যাপারে শরিয়তসিদ্ধ সাক্ষি না পাওয়া যাবে। তাই শরিয়ত সিদ্ধ পদ্ধতি ইহাই যে, বাকি লেনদেনের সময় তা
পরিশোধের তারিখসহ দু'জন সাক্ষির সামনে একজন ন্যায় পরায়ন লোকের মাধ্যমে লিখিয়ে রাখবে। (সুত্র:- সূরা বাকারা ১৮২ এর তাফসির প্রসঙ্গ)
আরও পড়ুন:-