(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
১/ বিয়ের আসল উদ্দেশ্য হলো নিজের পবিত্রতা, দৃষ্টি রক্ষা করে চলা, লজ্জাস্হানের হেফাজত, সন্তান লাভ ও জেনা ব্যভিচার থেকে
বেচে থাকা। অনেক সময় সমাজে চারটি বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে এরকম লোক অনেক পাওয়া যায়, যারা হাজরো মানুষের
জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, এখন যদি সে দু চারজন গরীব পরিবারের মেয়েকে বিবাহ করে নেয় তাতে অসুবিধা কি?
২/ অনেক সময় মহিলারা বিভিন্ন রোগব্যাধি ও গর্ভধারণ প্রভৃতি কারনে স্বামীকে দেহদানের যোগ্য থাকে না। এমতাবস্হায় সুস্হ
সবল ধনী স্বামীকে দ্বিতীয় বিবাহের অনুমতি দেওয়া ছাড়া জেনা থেকে বাচানোর আর কোনো উওম ব্যবস্হা নেই।
৩/ অনেক সময় মহিলা রোগের কারনে বা বন্ধ্যা হওয়ার কারনে সন্তান জন্ম দেওয়ার যোগ্য থাকে না অন্যদিকে স্বভাবগতভাবেই পুরুষদের
সন্তান লাভের আগ্রহ থাকে অধিক। এমতাবস্হায় সন্তান লাভের উওম পদ্ধতি হলো বন্ধ্যা স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে তার যাবতীয় হক বাহাল রেখে দ্বিতীয় বিবাহ করা।
৪/ কুদরতিভাবে মহিলাদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেক বেশী। পুরুষের জন্মের হার কম, পক্ষান্তরে পুরুষের মৃত্যুর হার বেশী।
অনেক পুরুষ যুদ্ধে, জাহাজ ডুবে, আরো বিভিন্ন দূর্ঘটনায় মারা যায়। সুতরাং একাধিক বিবাহের অনুমতি না দেওয়া হলে অতিরিক্ত
মহিলাদের জীবন বিপন্ন হতে বাধ্য, চরিত্র ধ্বংস হওয়া নিশ্চিত। তাই এই সমস্যা থেকে বাচার জন্য দ্বিতীয় বিবাহের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন:-
বেহেশতী মেয়ের বিবাহ
Late marriage বা বিলম্বে বিবাহ
অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতদের নামাজের ফজিলত
রাসুল সাঃ এর চারের অধিক বিবাহের তাৎপর্য