কোরআন শরীফ মুখস্থ করায় মেধাশক্তি বৃদ্ধি পায়।
কোরআন শরীফ মুখস্থ করার ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থায় চেষ্টা-সাধনা করলে মেধাশক্তি ব্যয় হয় না।
বরং এক্ষেত্রে মেধাশক্তি বৃদ্ধি পায়।কোন এক ডাক্তার বলেছেন মুখস্থ করতে থাকলে,মস্তিষ্কের সাথে স্মৃতিশক্তির সংমিশ্রণ ঘটে।
বিজ্ঞজনরা এর বিশ্লেষণে বলেছেন,মধ্যমপন্থায় যে শক্তি ব্যবহার করে কাজ করা হয়,তা হচ্ছে তার সাধনা।
আর সাধনা দ্বারা এ শক্তির প্রবৃদ্ধি ঘটে।
সুতরাং এ ভিত্তিতে বলা যায় যে,কোরআন শরীফ মুখস্থ করায় মুখস্থ শক্তি বৃদ্ধি পায়,যা পরবর্তীতে অর্থকরী জ্ঞান বা বৃত্তিমূলক জ্ঞান অর্জনে ভূমিকা পালন করে।
মুখস্থ শক্তি প্রবৃদ্ধির ফলে অন্যান্য জ্ঞানের ক্ষেত্রে অপর ব্যক্তি যে কাজটি ছয়মাসে সম্পন্ন করতে পারে,এ ব্যক্তি তা সম্পন্ন করতে সময় লাগবে মাত্র চার মাস।
সুতরাং কোরআন শরীফ মুখস্থ করার ক্ষেত্রে এতটা সময়ের প্রয়োজন হবে না,যতটা অন্যান্য জ্ঞানের জন্য প্রয়োজন হয়।
তবে মুখস্থ করণ কাজে যার আন্তরিকতার অভাব থাকে তার কথা ভিন্ন। এধরনের ব্যক্তিকে কোরআন শরীফ মুখস্থ করতে আমরা পরামর্শ দেই না।
লেখকঃ হাফিজ মাওঃ আফজাল।
সিনিয়র শিক্ষকঃ রাবেয়া সিকদার দারুসসুন্নাহ ইসলামীয়া মাদ্রাসা। সরাইল,বি-বাড়িয়া।
আরো পড়ুন 👇👇👇
মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা সম্পর্কে, কুরআনের ভাষায় সর্বক্ষণ কথোপকথন কারীনী মহিলা, আধুনিক বিজ্ঞানের মূলে পবিত্র কুরআন