(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
যে সকল গিবত জায়েয
প্রিয় বন্ধুগন! সব গীবতই কি নিন্দনীয়?উত্তর না ৷সব গীবতই নিন্দনীয় নয় ৷এমন কিছু গীবত আছে যেগুলো করা জায়েয ৷
আজ আমরা সেগুলো নিয়েই আলোচনা করব ইংশাআল্লাহ ৷
ভারত বর্ষের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফকীহ আল্লামা আব্দুল হাই লখনভী সাহেব রহ: তার উলুমুল হাদিস বিষয়ক প্রসিদ্ধ কিতাব
(الرفع و التكميل في الجرح و التعديل)এর ৫২নং পৃষ্টায় লিখেছেন, আল্লামা নববী রহ:তার কিতাব (رياض الصالحين)
ও ইমাম গাজালী রহ:(إحياء علوم الدين)এর মধ্যে উল্যেখ আছে,
শরয়ী কোন উদ্দেশ্যে জীবিত ও মৃত ব্যক্তির গীবত করা জায়েয আছে ,
এমন গীবত যা না করলেই নয় ৷ আর তা হলো ছয় প্রকার ৷ অর্থাৎ ছয়টি কারণ পাওয়া গেলে গীবত করা যাবে ৷
(১) জুলুমের কারণে অর্থাৎ কেউ যদি অন্য কারো উপর জুলুম করে তাহলে মাজলুম ব্যক্তি
বিচারক বা অন্য কারো কাছে যে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে পারবে তার নিকট বিচার প্রার্থনা করতে পারবে ৷
এবং একথা বলতে পারবে যে অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম করেছে ৷
(২) অন্যায়ের প্রতিরোধ করার জন্য যে প্রতিরোধ করতে পারবে তার নিকট গিয়ে এই অভিযোগ করতে পারবে
যে অমুক ব্যক্তি এমন কাজ করে আপনি তাকে ধমকি দিন ৷
(৩) ফতওয়া চাওয়ার জন্য ৷ সুতরাং কেউ মুফতি সাহেবের নিকট গিয়ে এমন বলতে পারবে যে,
আমার পিতা বা এমন কেউ আমার উপর জুলুম করেছে, তো এর থেকে বাচার উপায় কি?
(৪) মুসলমানদের কে খারাপি থেকে বাচানো ও তাদের কল্যান কামিতার জন্য ৷
যেমন বিবাহ, লেনদেন ইত্যাদীর ক্ষেত্রে এমন কথা বলতে পারবে যে অমুক ব্যক্তির মাঝে অমুক অমুক সমস্যা আছে, তাই সতর্ক হোন ৷
(৫) কেউ যদি প্রকাশ্যে কোন খারাপ কাজ বা বিদআত করে তাহলে সে যতটুকু অপরাধ প্রকাশ্যে করে তা বলা যাবে ৷ অন্যান্য গুলো নয় ৷
(৬) কেউ যদি কোন মন্দ নামে প্রসিদ্ধ হয়ে যায় তাহলে সেটা বলা যাবে ৷
যেমন কেউ প্রসিদ্ধ হয়ে গেল লেংড়া বা কানা নামে তাহলে তা বলা যাবে ৷
তবে সে এই নামে যদি প্রসিদ্ধ না থাকে তাহলে এই নামকে প্রসিদ্ধি করা যাবে না ৷
আল্লাহ পাক তোমাকে, আমাকে, সবাইকে হারাম গীবত থেকে বেঁচে মানুষের কল্যাণকামী হওয়ার তৌফিক দান করুন,আমীন!