(মুসলিম বিডি২৪.কম)
بسم الله الرحمن الرحيم
অনধীকার চর্চাকারীর সাথে আমাদের করণীয়
কখনও কখনও আপনার বন্ধু অনুমতি ছাড়াই আপনার মোবাইল ফোন হাতে নেয় এবং তার ভিতরে সুরক্ষিত ক্ষুূদে বার্তাগুলো পড়তে থাকে।
আমার এক বন্ধু বড় এক ভোজ- অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ছিলেন একজন বিচারপতি।
অংশগ্রহণকারীরা সবাই ছিলেন নামকরা সব পন্ডিত আবার মাঝখানে বসে কথাবার্তা বলছিলেন পকেটে বাড়ি মোবাইল ফোনটি তার জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করছিল।
এজন্য তিনি সেটা বের করে পাশের টেবিলের উপর রেখে দিলেন পাশে উপবিষ্ট আরেক পন্ডিত তালে তালে তার সাথে কথা বলে যাচ্ছিলেন।
স্বভাবসুলভ কায়দায় তিনি টেবিলে রাখা মোবাইল ফোনটি হাতে নিলেন স্কিনে নজর দিয়ে তার চেহারার রং বদলে গেল।
তিনি যথাস্থানে মোবাইলটি রেখে দিলেন আমার বন্ধু কোন রকমে হাসি চেপে গেলেন। অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে আমি তার গাড়িতে চড়লাম।
তিনি মোবাইলটি পাশে রেখে দিয়েছেন উল্লেখিত পন্ডিতের মত আমিও সেটি হাতে নিলাম। আমি যখন স্ক্রিনের দৃষ্টিপাত করলাম।
তখন হেসে ফেললাম বরং হেসে ভেঙ্গে পড়লাম বলতে পারেন কেন? কি কিছু লোকের অভ্যাস তারা কিছু একটা লিখে রাখেন কেউ লিখেন নিজের নাম।
কেউ লিসেন কোন তাসবীহ অথবা অন্য কিছু কিন্তু আমার এই বন্ধু লিখেছেন মোবাইলটি আগে জায়গায় রাখ তুই পরচর্চাকারী।
এমন অনেক লোক আছে যারা অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে একজন আপনার সাথে আপনার গাড়িতে চড়বে।
তারপর সামনের বক্সটি খুলে তার ভিতরে কী আছে তা দেখবে কোন নারী একটু লিপিস্টিক বা আইলাইনার ব্যবহার করার জন্য অপর নারীর ভ্যানিটি খুব সহজে খুলে ফেলে।
কেউ আপনাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করে আপনি কোথায়? উত্তরে আপনি যখন বললেন আমি একটু কাজে ব্যস্ত আছি তখন সে বলে কোথায়?
আপনার সাথে কে আছে।
জীবন-চলার পথে আমাদের সাথে অনেকেই এমন আচরণ করে কিন্তু আমরা তাদের সাথে কেমন ব্যবহার করব?
সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কাউকে না হারিয়েই আপনাকে সবকিছু করতে হবে আপনি বিতর্কে না জড়ানোর জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেন কেউ যেন আপনার উপর বিরক্ত না হয়। জটিল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আপনি চৌকস হোন।
তার ও আপনার মাঝে যেন কোনো ঝামেলা সৃষ্টি না হয়। কারণ যা-ই হোক না কেন শুক্র সৃষ্টি বা বন্ধু হারানোর পরিবেশ তৈরি করবে না।
অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপকারীদের সাথে সমঝোতা করার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন করে দেওয়া অথবা পুরোপুরি অন্য প্রসঙ্গে চলে যাওয়া।
যাতে সে প্রথম প্রশ্নটি বেমালুম ভুলে যায়।যেমন কেউ যদি আপনাকে প্রশ্ন করে, আপনার মাসিক বেতন কত?
আপনি মুচকি হেসে কোমল কন্ঠে তাঁকে বলুন, কেন, আপনি কি আমার জন্য অধিক বেতনের চাকুরি ঠিক করে রেখেছেন?
সে বলবে তা নয়; কিন্তু একটু জানতে চেয়েছিলাম আপনি বলুন আজকাল বেতন – ভাতা নিয়ে যত সমস্যা।
মনে হচ্ছে জ্বালানী তেলের দাম বাড়ার কারণে
এগুলো হচ্ছে সে হয়তো বলবে এখানে জ্বালানী তেল এল কোত্থেকে? আপনি বলুন জ্বালানী তেল তো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে।
খেয়াল করেন না জ্বালানী তেলের জন্যই তো যুদ্ধবিগ্রহ হচ্ছে সে বলবে না ; আপনার কথা সঠিক নয় যুদ্ধবিগ্রহের বহু কারণ আছে।
সারা বিশ্বই এখন যুদ্ধবিগ্রহ চলছে। এই উত্তর দিতে দিতেই সে প্রথম প্রশ্ন ভুলে যাবে আপনার মতামত কী? এভাবে চৌকস হয়ে কি জটিলতা এড়াতে পারেন না?
এমনইভাবে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, আগামীতে কোথায় সফরে যাচ্ছেন? তাহলে আপনি তাঁকে বলুন, কেন,
আপনি কি আমার সাথে সফরে যাবেন? সে উত্তরে বলবে, যেতে পারব কি না জানি না কিন্তু একটু বলুন না?
আপনি বলুন কিন্তু যদি আমার সাথে সফরে যেতে চান তাহলে বিমানভাড়া আপনি দিবেন। এতক্ষণে বিমানভাড়ার প্রসঙ্গে শুরু হবে।
এবং সে মূল বিষয়বস্তুই ভুলে যাবে এভাবেই আমরা অন্যদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি না করে বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।
থামুন
যদি কোন অবাঞ্চিত হস্তক্ষেপকারীর খাপ্পরে পড়েন তাহলে আপনি তার চেয়ে উত্তম হতে চেষ্টা করুন তাকে পর্যুদস্ত করে পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসুন।
আরো পড়ুন
কারবালার সংক্ষিপ্ত প্রকৃত ইতিহাসঃ শেষ পর্ব,কোরআন পাঠের কিছু আদব,সকল ইবাদতে সীমালঙ্ঘন নিষিদ্ধ