(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
(তৃতীয় পর্বের পর) অতঃপর তাকেই সেনাপতি নিযুক্ত করে পাঠালো। শিমর বিন জিল জওশন হুসাইন রাঃ এর কাছে আসলে
হুসাইন রাঃ তাকে তিনটি প্রস্তাব দেন। ১. আমাকে মদীনায় ফিরে যেতে দাও। ২. না হয় আমাকে সরাসরি ইয়াজিদের কাছে পৌঁছে দাও।
৩. এর কোনটিই পছন্দ না হলে আমাকে তৃতীয় কোন মুসলিম অঞ্চলের সীমান্তের কাছে পৌঁছে দাও,
সেখানে আমি কাফিরদের সাথে জিহাদ করতেকরতে শাহাদাত বরণ করব।
শিমারের সীমালংঘন
কিন্তু শিমার বলল আপনার সামনে দুটি পথই খোলা আছে, হয় ইয়াজিদের হাতে বায়আত গ্রহণ করুন, না হয়
যুদ্ধ আপনার ও আমার মাঝে ফয়সালা করবে। হুসাইন রাঃ বায়আত গ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে
শিমার বাহিনী ফুরাত নদী ও তাদের তাবুর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিল। যাতে তাদের কাছে একফোঁটা পানিও পৌছতে না পারে।
হযরত হুসাইন রাঃ এর ধৈর্য ও তার শিশুর শাহাদাত বরণ
একফোঁটা পানি যাতে তাদের কাছে পৌঁছতে না পারে সে জন্য কড়া ব্যবস্থা ও গ্রহণ করে।
পানির অভাবে হুসাইন রাঃ এর লোকজনের তাবুতে হাহাকার পড়ে যায়। তারপর ও হুসাইন রাঃ ধৈর্য ধারণ করে থাকেন।
৯ ই মহররম সারা রাত তিনি ও তার সাথীরা ইবাদাতে কাটান। ১০ ই মহররম অবস্থা আরও করুণ হয়ে যায়।
হুসাইন রাঃ এর কোলের শিশু পিপাসায় ছটফট করতে থাকে। তাই তাকে পানি পানি পান করানোর জন্য ফোরাতের দিকে অগ্রসর হতেই
শিমারের পক্ষ থেকে একটি তীর এসে শিশুর কন্ঠনালীতে বিদ্ধ হয়ে তৎক্ষণাৎ শাহাদাত বরণ করে।
অতঃপর শিমার বাহিনী যুদ্ধ শুরু করে দেয়। হুসাইন রাঃ এর সঙ্গীরা ও জালিমদের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে থাকেন।
এবং শাহাদাত বরণ করতে থাকেন। সবশেষে হুসাইন রাঃ বীরের মত হুংকার ছেড়ে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েন।
আঘাতপ্রাপ্ত হয়েও যুদ্ধ করতে করতে অবশেষে শাহাদাত বরণ করেন।
- আরো পড়ুন 👇
কারবালার সংক্ষিপ্ত প্রকৃত ইতিহাসঃ পর্ব ১