(মুসলিম বিডি২৪.কম)
بسم الله الرحمن الرحيم
আমাদের নামাযগুলোর যে অবস্থা তাতে আখরাতে পার পাওয়া যাবে কি না আল্লাহই ভালো জানেন!
নামাযগুলো সুন্দর করার একটি সহজ উপায় নিম্নে দেয়া হলো
প্রথমতঃ আমরা সবাই যে কুআনের একটি ছোট্ট সূরাقُلۡ هُوَاللّٰهُ أََحَدُ এর সঙ্গে চুক্তি করেছি যে, আমরা প্রত্যেক রাকাতে তোমাকেই পড়বো।
অর্থাৎ প্রত্যেক রাকাতেقُلۡ هُوَاللّٰهُ أََحَدُ সূরাটিই পড়বো আজ থেকে সেই চুক্তি ভঙ্গ করতে হবে সর্ব নিম্ন চারটি সূরার সঙ্গে এই চুক্তি করা যেতে পারে।
এর কম নয় অন্তত চারটি সূরা মুখস্ত করে নিন যেন প্রতি রাকাতে ভিন্ন ভিন্ন সূরা তেলাওয়াত করা যায় একি সূরা প্রত্যেক রাকাতে তেলওয়াত করাকে ওলামায়ে কেরাম মাকরূহ লেখেছেন।
কেউ কেউ তো এমনও আছেন যারা দু'আয়ে কুনূত এর স্থলে قُلۡ هُوَاللّٰهُ أََحَدُ পাঠ করেন! আরে ভাই! এ কেমন কথা? দু'আর স্থলে সূরা কেন?
দু'আয় 'কুনূত এর স্থলে দুআয়ে কুনূতই পড়ো! যদি দুআয়ে কুনূত পড়া হয় তাহলে ওয়াজিব আদায় হবে,قُلۡ هُوَاللّٰهُ أََحَدُ পড়লে ওয়াজিব আদায় হবে না।
বরং সেটা বিতরের নামাযই থাকবে না এজন্য ‘দুআয় কুনূত' মুখস্থ করতে হবে যতদিন পর্যন্ত মুখস্থ না হবে ততদিন
رَبَّنَااتِنَافِيْ الدُّنْيَاحَسَنَةًوَفِيْ الْاخِرَةِحَسَنَةًوَقِنَاعَذَابَ النَّارِ
পড়া যেতে পারে কিন্তু قُلۡ هُوَاللّٰهُ أََحَدُ পড়ার কথা তো কিতাবে নেই তো প্রথমতঃ আমরা নামাযের সূরাগুলো বদলে বদলে পড়বো।
দ্বিতীয়তঃ রুকুতে গিয়ে سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْم তিনবারের সঙ্গে আরো দু'বার যোগ করে মোট পাঁচ বার তাসবীহ পাঠ করি।
এমন যেন না হয় যে, ধীরে ধীরে তিনবারে যে সময় লাগে সেই সময়ের মধ্যে দ্রুত তাসবীহ পাঠ করবেন এতে তেমন উপকারিতা নেই।
বরং ধীরে ধীরে থেমে থেমে পাঁচ বার তাসবীহ পাঠ করুন যখন রুকুত হতে উঠবেন তখন سَمِعَ اللّٰهُ لِمَنْ حَمِدَ এবং رَبَّنَالَكَ الْحَمْدُ এসব তাসবীহ ধীরে ধীরে সুস্থে থেমে থেমে পাঠ করবেন।
আমাদের অধিকাংশের অবস্থা এই যে رَبَّنَالَك الْحَمْد সিজদায় গিয়ে শেষ হয় এবং এরপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদা করি।
এমন যেন না হয় رَبَّنَالَك الْحَمْد দাঁড়িয়েই বলতে হবে তারপর সিজদার জন্য ঝুঁকবেন।