Breaking News
Home / ইসলামিক নিউজ / নবীজির যাদুময়ী কথার প্রভাব

নবীজির যাদুময়ী কথার প্রভাব

(২৪. কম)

নবীজির যাদুময়ী কথার প্রভাব

بسم الله الرحمن الرحيم

নবীজির যাদুময়ী র প্রভাব

মক্কার খ্যাতিমান জোতিষী ও জাদুকর তোফায়েল ইবনে আমর দাওসী পৌত্তলিকরা আমাদের নবীজির কুৎসা দিয়ে তাঁর কান ভরে দিয়েছিল।

সে নবীজি এতটাই ভয় পেত যে, নবীজির কোনো কথা যেন তাঁর কানে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য সে কানে তুলা এঁটে রাখতো।

সে বলতো আমি কখনো মুহাম্মাদের কথা শুনবো না শুনলে হয়তো তাঁর কথার যাদু আমার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

কিন্তু আল্লাহ তায়া'লার ইচ্ছা ছিল অন্য রকম  হযরত তোফায়েল ইবনে আমর নিজের কথা  নিজেই বলছেন,

আমি কাবাগৃহে প্রবেশ করলাম। দেখলাম মুহাম্মদ (সাঃ) াযে দাঁড়িয়ে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করছেন।

আমি মনে মনে ভাবলাম আমি একজন বুদ্ধিমান লোক বয়সও কম হয়নি ভালো – মন্দ পার্থক্যের যোগ্যতাও হয়েছে।

তাহলে ের কথায় কান না দিয়ে একবার মুহাম্মদ কী বলে তা শুনতে বাঁধা কোথায়?কথাগুলো মনের য় ভেসে উঠলো।

সিদ্ধান্ত নিলাম আজ মুহাম্মদ কী বলে তা শুনব আমি কান থেকে তুলাগুলো বের করে নিলাম ধীরে ধীরে তাঁর কাছে গিয়ে বসে পড়লাম।

এক অাস্য স্নিগ্ধতা তাঁর নূরানী চেহারায় খেলা করছিল। একদিকে তোফায়েল ইবনে আমর যাদুবিদ্যায়ও পিছিয়ে ছিলেন না।

তিনি বললেন ভাতিজা! আমি অনেক বড় বড় যাদু কেটেছি যাদুগ্রস্ত জ্বিন-ভূতের আছরগ্রস্ত বহু লোকের চিকিৎসা করেছি।

যদি তোমার ওপর কোনো জ্বিন-ভূতের প্রভাব থাকে তো বলো আমি তোমার চিকিৎসা করি তুমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।

নবীজি উত্তরে বললেন

اِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ أَحْمَدُهُ وَاَسْتَعِيْنُهُ وَأُو۟مِنَ بِه،مَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَلَامُضِلّلَهُ،وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ

অর্থ – সব প্রশংসা আল্লাহ তায়া'লার জন্য আমি তাঁরই গুণগান করছি তাঁরই নিকট সাহায্য প্রর্থনা করছি এবং তাঁরই ওপর ঈমান রাখছি।

যাকে আল্লাহ হেদায়েত দেবেন তাঁকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারবে না আর যাকে তিনি গোমরাহ করবেন তাকে কেউ হেদায়েত দিতে পারবে না।

এ বাক্য কয়েকটিতে যে কী পরিমাণ প্রভাব রয়েছে তা আমরা বুঝতে না পারলেও একজন আরবীভাষী লোক কিন্তু ঠিকই বুঝতে পারবেন।

বাক্যগুলো শোনার পর তোফায়েল ইবনে আমর চমকে উঠে বললেন কী বললে? আবার বলো আবার বলো তোমার কথামালা তো সমুদ্রের গভীরতাকেও হার মানাচ্ছে।

নবীজি বাক্যগুলো পুনরায় পাঠ করলেন।

اِنَّ الْحَمْدَ لِلَّهِ أَحْمَدُهُ وَاَسْتَعِيْنُهُ وَأُو۟مِنَ بِه،مَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَلَامُضِلّلَهُ،وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ

তোফায়েল বিস্ময়ে বিস্ফারিত নয়নে মুহাম্মদ (সাঃ)-এর দিকে তাকিয়ে রইলেন অস্ফুট স্বরে বললেন, অসাধারণ! চমৎকার! মহাবিস্ময়কর তোমার

বলো তুমি কী চাও সবার কাছে? তোমার দাবি কী? নবীজি উত্তর দিলেন – বলুন لَا إِلَهَ إِلَّااللّٰهُ مُحَمَّدٌرَّسُوْلُ اللّٰهِ

আল্লাহ এক তিনি ছাড়া কোনো মাবূদ নেই  মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর প্রেরিত দূত তোফায়েল মন্ত্রমুগ্ধের মতো স্বীকার করে বললেন,

হ্যাঁ! আমি স্বীকার করলাম আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই মুহাম্মদ( সাঃ) তাঁর প্রেরিত রাসূল।

আরো লেখা পড়ুন

গান-বাদ্য পরিহারের পুরুষ্কার হলো আল্লাহর বন্ধুত্ব

মায়াবী চেহারাগুলো হবে পোকা- মাকড়ের আহার

About Mijanur Rahman Shaif

মাওঃ মিজানুর রহমান সাইফ সাহেব। একজন লেখক | সাংবাদিক | গবেষক তিনি দ্বীনের আলো মুসলিম উম্মাহর কল্যানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে মুসলিমবিডি টুয়েন্টি ফোর ডটকমকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছেন।

Check Also

তোহ্ফায়ে সুন্নাহ্

এস্তেঞ্জার আদব ও সুন্নতসমূহ   ১. এস্তেঞ্জাখানায় প্রবেশের পূর্বে বিসমিল্লাহ বলে মাথা ঢেকে নেয়া। (মুসান্নাফে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost