Breaking News
Home / জরুরী মাসাইল / ভাস্কর্যের ইতিহাস

ভাস্কর্যের ইতিহাস

(মুলিমবিডি২৪ডটকম)

ভাষ্কর্যের ইতিহাস

সূরা আম্বিয়া আয়াত ৫১

وَلَقَدْ ءَاتَيْنَآ إِبْرَٰهِيمَ رُشْدَهُۥ مِن قَبْلُ وَكُنَّا بِهِۦ عَٰلِمِينَ

আর আমি ইতিপূর্বে ইব্রাহীমকে তার সৎপন্থা দান করেছিলাম এবং আমি তার সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাত ও ছিলাম। ৫২

إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِۦ مَا هَٰذِهِ ٱلتَّمَاثِيلُ ٱلَّتِىٓ أَنتُمْ لَهَا عَٰكِفُونَ যখন তিনি তাঁর পিতা ও তাঁর সম্প্রদায়কে বললেনঃ এই মূর্তিগুলো কী, যাদের তোমরা পূজারী হয়ে ে আছ। ৫৩

قَالُوا۟ وَجَدْنَآ ءَابَآءَنَا لَهَا عَٰبِدِينَ

তারা বললঃ আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে এদের পুজা করতে দেখেছি। ৫৪

قَالَ لَقَدْ كُنتُمْ أَنتُمْ وَءَابَآؤُكُمْ فِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ

তিনি বললেনঃ তোমরা প্রকাশ্য গোমরাহীতে আছ এবং তোমাদের বাপ-দাদারাও। ৫৫

قَالُوٓا۟ أَجِئْتَنَا بِٱلْحَقِّ أَمْ أَنتَ مِنَ ٱللَّٰعِبِينَ

তারা বললঃ তুমি কি আমাদের কাছে সত্যসহ আগমন করেছ, না তুমি কৌতুক করছ? ৫৬

قَالَ بَل رَّبُّكُمْ رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ ٱلَّذِى فَطَرَهُنَّ وَأَنَا۠ عَلَىٰ ذَٰلِكُم مِّنَ ٱلشَّٰهِدِينَ

তিনি বললেনঃ না, তিনিই তোমাদের কর্তা যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের পালনকর্তা, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন; এবং আমি এই বিষয়েরই সাক্ষ্যা।৫৭

وَتَٱللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَٰمَكُم بَعْدَ أَن تُوَلُّوا۟ مُدْبِرِينَ

আল্লাহর কসম, যখন তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে চলে যাবে, তখন আমি তোমাদের মূর্তিগুলোর ব্যাপারে একটা ব্যবস্থা অবলম্বন করব। ৫৮

فَجَعَلَهُمْ جُذَٰذًا إِلَّا كَبِيرًا لَّهُمْ لَعَلَّهُمْ إِلَيْهِ يَرْجِعُونَ

অতঃপর তিনি সেগুলোকে চূর্ণ-বিচুর্ণ করে দিলেন ওদের প্রধানটি ব্যতীতঃ যাতে তারা তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তন করে। ৫৯

قَالُوا۟ مَن فَعَلَ هَٰذَا بِـَٔالِهَتِنَآ إِنَّهُۥ لَمِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ

তারা বললঃ আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার কে করল? সে তো নিশ্চয়ই কোন জালিম-৬০

قَالُوا۟ سَمِعْنَا فَتًى يَذْكُرُهُمْ يُقَالُ لَهُۥٓ إِبْرَٰهِيمُ

কতক লোকে বললঃ আমরা এক যুবককে তাদের সম্পর্কে বিরূপ আলোচনা করতে শুনেছি; তাকে ইব্রাহীম বলা হয়। ৬১

قَالُوا۟ فَأْتُوا۟ بِهِۦ عَلَىٰٓ أَعْيُنِ ٱلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُونَ

 তারা বললঃ তাকে জনসমক্ষে উপস্থিত কর, যাতে তারা দেখে। ৬২

قَالُوٓا۟ ءَأَنتَ فَعَلْتَ هَٰذَا بِـَٔالِهَتِنَا يَٰٓإِبْرَٰهِيمُ

তারা বললঃ হে ইব্রাহীম তুমিই কি আমাদের উপাস্যদের সাথে এরূপ ব্যবহার করেছ?৬৩

قَالَ بَلْ فَعَلَهُۥ كَبِيرُهُمْ هَٰذَا فَسْـَٔلُوهُمْ إِن كَانُوا۟ يَنطِقُونَ

তিনি বললেনঃ না এদের এই প্রধানই তো একাজ করেছে। অতএব তাদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তারা বলতে পারে। ৬৪

فَرَجَعُوٓا۟ إِلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ فَقَالُوٓا۟ إِنَّكُمْ أَنتُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ

 অতঃপর মনে মনে চিন্তা করল এবং বললঃ লোক সকল; তোমরাই বে ইনসাফ।৬৫

ثُمَّ نُكِسُوا۟ عَلَىٰ رُءُوسِهِمْ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هَٰٓؤُلَآءِ يَنطِقُونَ

অতঃপর তারা ঝুঁকে গেল মস্তক নত করে, তুমি তো জান যে, এরা কথা বলে না, ৬৬

قَالَ أَفَتَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكُمْ شَيْـًٔا وَلَا يَضُرُّكُمْ

তিনি বললেনঃ তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর এবাদত কর, যা তোমাদের কোন উপকার ও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না ?৬৭

أُفٍّ لَّكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ

ধিক! তোমাদের জন্যে এবং তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরই এবাদত কর, ওদের জন্যে। তোমরা কি বোঝ না? ৬৮

قَالُوا۟ حَرِّقُوهُ وَٱنصُرُوٓا۟ ءَالِهَتَكُمْ إِن كُنتُمْ فَٰعِلِينَ

তারা বললঃ একে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের উপাস্যদের কর, যদি তোমরা কিছু করতে চাও। ৬৯

قُلْنَا يَٰنَارُ كُونِى بَرْدًا وَسَلَٰمًا عَلَىٰٓ إِبْرَٰهِيمَ

 আমি বললামঃ হে অগ্নি, তুমি ইব্রাহীমের উপর শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও। ৭০

وَأَرَادُوا۟ بِهِۦ كَيْدًا فَجَعَلْنَٰهُمُ ٱلْأَخْسَرِينَ

 তারা ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ফন্দি আঁটতে চাইল, অতঃপর আমি তাদেরকেই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ করে দিলাম।

 

সূরা আল মায়িদাহ াত: ৯০

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِنَّمَا ٱلْخَمْرُ وَٱلْمَيْسِرُ وَٱلْأَنصَابُ وَٱلْأَزْلَٰمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ ٱلشَّيْطَٰنِ فَٱجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

অর্থঃ হে মুমিনগণ, এই যে মদ, , প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈধ তো নয়।

অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।

সূরা ইব্রাহীম আয়াত: ৩৫

وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِيمُ رَبِّ ٱجْعَلْ هَٰذَا ٱلْبَلَدَ ءَامِنًا وَٱجْنُبْنِى وَبَنِىَّ أَن نَّعْبُدَ ٱلْأَصْنَامَ

যখন ইব্রাহীম বললেনঃ হে পালনকর্তা, এ শহরকে শান্তিময় করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তান সন্ততিকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন।

 

বি.দ্র.  ইসলাম স্পষ্ট, এবং শান্তি, পৃথিবীর বুকে বহু মহামানব এসেছে, আবার চলেও গেছে৷

ভালো মন্দ মুসলিম অমুসলিম কেউ ঠিকে থাকতে পারেনাই, হোক সে পাওয়ার ম্যান,

বা ি দামি মুসলিম, বা আরো বড় মাপের কেউ, সে যে কেউ হোক না কেন?

ভাস্কর্য্য নামক মূর্তি তৈরি করা বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য সম্পূর্ন রুপে হারাম,

পৃথিবীতে মহামানব নামক যদি কেউ এসে থাকে তাহলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও সমগ্র মহাে শান্তির বানী নিয়ে এসেছেন,

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ, ইবেন আরো এসেছেন এক লক্ষ কিংবা দুই লক্ষ ২৪ হাজার পয়গাম্বর,

তাতেও শেষ নেই? এসে চলে গেলেন অসংখ্য গন, তাবেয়ীগন, খুলাফায়ে রাসেদীন গন, কাহারো তো কোন ভাস্কর্য্য নেই,?

হ্যা অনেকে হয়তো বলবেন সে যুগে তো ছিল না, কিন্তু সে যুগে মূর্তি বা ভাস্কর্য্য আরো বেশি ছিল, একটি উদাহরণ না দিলে তো সমস্যা,

যেমন ইব্রাহিম আঃ এর জামানায়, ৩৬০ টি মূর্তি তিনিই ভেঙ্গে পেলেছেন, এবং ফেরাউন এর দেশে যারা রাজা তাদের কে ভাস্কর্য্য করে রাখা হতো মরার পরে?

সে গুলোকে মুর্তি বলা হতোনা, তাদের কে আমুন বলা হতো, এখন বলাটা বাহুল্য আমরা কি এখন সেই ফেরাউন হতে যাচ্ছি নাকি?

কিছুই,বুঝে আসেনা, যাই হোক ভাস্কর্য্য নামক কোন মুসলমানের মূর্তি বানানো থেকে বিরত থাকি, গুনাহ থেকে হেফাজতে থাকি,

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ বুঝার তাওফিক দান করুক আমিন

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Check Also

কোর্ট ম্যারেজ বৈধ না অবৈধ

(Muslimbd24.Com) আদালতের মাধ্যমে বিবাহের প্রচলিত পদ্ধতি হল,  ছেলে – মেয়ে  উভয়ে রেজিস্টারএর কাছে নিকাহনামা তে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost