(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
সিডনীর এক প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার ওয়াচার লোহক।তিনি বলেন,যারা পরিণত বয়স হওয়ার পর বিয়ে করতে দেরি করে,
তাদের সেক্স হরমোন কমতে কমতে এক সময় তা নিঃশেষ হয়ে যায়।হাড়ের রস কমে গিয়ে প্রথমে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়,পরে তা কমতে থাকে।
যৌবনের শুরুতে বিবাহ না করলে, সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।অপরাধের সাথে পরিচয় হওয়ার পর বিয়ে করলেও,
সে তার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে পারে না।এভাবেই দিন দিন সমাজ অবনতির দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
আর ব্যক্তি নিজে জড়িয়ে পড়ে ছোট থেকে বড় অন্যায়ের সাথে।বর্তমান সমাজে সামাজিক অপরাধের মুল হোতা হল যুবসমাজ।
তাদের মধ্যে যৌন উত্তেজনা বেশি।আর এ উত্তেজনা ব্যভিচার(যিনা)কে সহজ বানিয়ে দিয়েছে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে,বর্তমানে পুরো ইউরোপ তথা প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমাজের সর্বনিম্ন মানুষ পর্যন্ত ব্যভিচারে লিপ্ত।
এর কারণ হিসাবে দেখা গেছে,যাদের প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হয়নি,তারাই নানা অজুহাতে যৌন চাহিদা মেটাতে সামাজিক অন্যায়ে লিপ্ত হয়ে পরে।
আর একারণে ইসলাম যে ক'টি কাজ সর্বাগ্রে করার নির্দেশ দিয়েছে,তন্মধ্যে ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার সাথে সাথে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা অন্যতম।
আমেরিকান ডাক্তারদের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে,বর্তমান পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী কুমারদের তুলনায় বিবাহিতরা বেশী সুস্থ থাকে।
গবেষণা অনুযায়ী জানা গেছে যে, বিবাহিত লোকদের নেশার প্রতি আগ্রহ খুব কম থাকে।তারা নিজেদের খাদ্যের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখে।
এক সঙ্গী সকল ব্যপারে অপর সঙ্গীকে সহায়তা দেয়।তারা নিয়মিত ব্যয়াম করে।
এব্যপারে মার্কিন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীগণ উনিশ হাজার লোকের উপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে যে,
অ্যাজমা থেকে মাথা ব্যথা পর্যন্ত প্রায় সকল রোগে কুমারদের তুলনায় বিবাহিতরা কম আক্রান্ত হয়ে থাকে।
“ইসলাম আওর জাদীদ সায়েন্স” গ্রন্থকার ডাঃ মুহাম্মদ তারেক মাহমুদ লিখেছেন,বৃটিশ ম্যারেজ প্লাস ওয়ান ইউরোপ এবং আমেরিকায়,
গবেষণা করার পর এ সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, বিবাহিত লোকেরা দীর্ঘজীবন লাভ করে।
তাদের স্বাস্থ্যও স্বুস্থ্য থাকে।তাদের ওপর মানসিক এবং শারীরিক রোগ খুব কম প্রভাব ফেলতে পারে।
তারা দুর্দশাগ্রস্ত থাকে খুব কমই। আর্থিক দিক থেকে তারা তাকে স্বয়ং সম্পুর্ন। পক্ষান্তরে যারা কুমার জীবন যাপন করে অথবা,
বিধবা কিংবা তালাকপ্রাপ্তা হয় তাদের ব্যপারটি এদের সম্পুর্ন বিপরীত।সূত্রঃLate marred Dr.Ali tantabi