(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
হযরত যয়নব বিনতে জাহশ রা:বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার পর তার সান্ত্বনা ও মনোরঞ্জনের জন্য নবী করীম সা:স্বয়ং তাঁকে বিবাহ করতে মনস্থ করলেন।
তখন আরবের প্রথা অনুযায়ী যেহেতু পালক পুত্রকে আপন পুত্রের মতই মনে করা হতো,
তাই সাধারণ লোকদের ধারনার কথা মনে করে নবী করীম সা:এ ইচ্ছা প্রকাশ করলেন না।
কেননা লোকেরা বলাবলি করবে যে,নিজের পুত্রবধূকে বিবাহ করেছে।
কিন্তু এটি যেহেতু অন্ধকার যুগের একটি প্রথা ছিল।যার অবসান ঘটানো ইসলামে জরুরি ছিল।তাই এ আয়াত অবতীর্ণ হল।
“আপনি মানুষের (সমালোচনার) ভয় করেন অথচ ভয় একমাত্র আল্লাহকে করা উচিত”।
মোটকথা চতুর্থ হিজরীতে আর কোন কোন বর্ণনা অনুযায়ী তৃতীয় বা পনঞ্চম হিজরীতে আল্লাহ পাকের নির্দেশ মুতাবিক নবী করীম সা:স্বয়ং তাকে বিবাহ করলেন।
যাতে করে লোকদের একথা জানানো যায় যে,পালক পুত্র আপন পুত্রের মত নয়়।তার স্ত্রী সম্পর্ক ছিন্নের পর হারাম নয়।
আর যারা আল্লাহর এই হালালকে বিশ্বাসের দিক দিয়ে বা কার্যকরী ভাবে হারাম করে রেখেছে,তারা যেন ভবিষ্যতে এই ভুল আকিদা থেকে ফিরে আসে।
এবং জাহেলিয়াতের একটি কুপ্রথার অবসান ঘটে।
আর এই দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস ও প্রথার অবসান ঘটানো তখন ই সম্ভব,
যখন রাসুল সাঃ স্বয়ং আমলীভাবে এটি করে দেখাবেন।
হযরত যায়নব সম্পর্কে আমি যা লিখেছি তা অত্যন্ত বিশুদ্ধ হাদিস থেকে লিখেছি।
এ সম্পর্কিত বহু হাদিস বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার হাফিজুল হাদিস আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (র) তার ব্যাখ্যা গ্রন্থ “ফতহুল বারী”তে সংকলিত করেছেন।
(ফতহুল বারী সুরা আহযাবের তাফসীর দ্রষ্টব্য)
এগুলো ছাড়া অন্য যে সকল ভ্রান্ত রেওয়ায়েত প্রচার করা হয়েছে,সে গুলো মুনাফিক ও কাফিরদের মনগড়া কাহিনী।
যেগুলোকে কোন কোন মুসলিম ঐতিহাসিক যাচাই বাছাই না করে নিজ নিজ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।অথচ এগুলো সম্পুর্ন মিথ্যা রটানো অপবাদ বৈ কিছু নয়।