(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
অতিক্রম বলা হয় নামাজীর সম্মুখ দিয়ে এক পাশ থেকে অন্য পাশে চলে যাওয়া।
হুজুর (সা:) ইরশাদ করেন: নামাজীর সম্মুখ দিয়ে গমনাগমন যে কত বড় ও ভয়ংকর গোনাহ, তা যদি অতিক্রমকারী জানতো,
তাহলে সে ৪০ বছর অপর এক বর্ণনায় ১০০ বছর অপেক্ষা করতে হলেও নিজ স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতো। তথাপিও নামাজীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করতো না।
নামাজীর সামন দিয়ে চলাচল বা অতক্রম করার ভায়াবহ গোনাহ সম্পর্কে এই একটি হাদীসই যথেষ্ট। কাজেই এ সম্পর্কে সজাগ ও সতর্ক থাকা সকলের কর্তব্য।
নামাজীর সম্মুখ থেকে যাওয়া
তবে কেউ যদি নামাজরত ব্যক্তির সোজা সম্মুখবর্তী থাকে, আর সে সম্মুখ ভাগ থেকে নামাজীর কোন এক পার্শ্ব দিয়ে চলে যায়।
তাহলে শরীয়তের পরিভাষায় এটাকে অতিক্রম বলে না অর্থাৎ ঐ ব্যক্তি নামাজীর সামন দিয়ে না গিয়ে যে কোন পার্শ্ব দিয়ে গেছে।
কাজেই যিনি শুরু থেকেই নামাজীর সম্মুখবর্তী হয়ে আছেন তিনি যদি নামাজীর সম্মুখ থেকে তার কোন পার্শ্ব দিয়ে চলে যান, তবে তা না-জায়েয হবে না।
কিন্তু এ রীতি অনুসরণ করতে থাকলে যেহেতু জনসাধারণ্যে ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ রয়েছে,
তাই অসুবিধা না হলে সম্মুখ থেকে চলে না গিয়ে নামাজীর সালাম ফিরানো পর্যন্ত অপেক্ষা করা উত্তম এবং সাওয়াবের কাজ।
উল্লেখ্য, এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে অন্য কোন নামাজীর সম্মুখ দিয়ে যেন অতিক্রম না হয়।
যেমন, আপনি যার সম্মুখভাগে আছেন, তার কোন পার্শ্বে যদি অন্য কেউ নামাজরত থাকে তাহলে আপনি সে পাশ দিয়ে যেতে পারবেন না।
আর উভয় পার্শ্বে যদি লোক নামাজরত থাকে তাহলে কোন পার্শ্ব দিয়েও যেতে পারবেন না।
নতুবা পার্শ্বের নামাজীর কারণে আপনার চলে যাওয়া অতিক্রম বলে গণ্য হবে এবং আপনি গোনাহগার হবেন।
তাই নামাজীর সম্মুখ ভাগ থেকে চলে যেতে হলে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, অন্য নামাজীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম যেন না হয়।
নামাজীর সম্মুখ দিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি
(ক)
নামাজী ব্যক্তি দাঁড়ানো অবস্থায় সেজদাহ'র স্থানে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখলে সম্মুখ ভাগে যতটুকু স্থান প্রচ্ছন্ন ভাবে দৃষ্টিতে পড়ে,
নামাজীর সম্মুখভাগের ততটুকু স্থান ছেড়ে অতিক্রম করা যায়। ফুক্বাহাগণ পরিমাপ করে দেখেছেন, তা দু'কাতার বা ৫/৬ হাত পরিমাণ হয়ে থাকে।
তাই নামাজীর দু'কাতার সামন দিয়ে বা ৫/৬ হাত দূর দিয়ে অতিক্রম বা গমনাগমন করা যাবে।
তবে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া না যাওয়াই উত্তম।
(খ)
পথে, ময়দানে বা উন্মুক্ত স্থানে নামাজ পড়তে হলে নিদেন পক্ষে হস্তাঙ্গুল পরিমাণ মোটা এক হাত লম্বা বিশিষ্ট কোন বস্তু সম্মুখভাগে দাড় করিয়ে রাখা কর্তব্য।
তবেই নামাজীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম বা গমনাগমন করা যাবে।
(গ)
নামাজী যদি এ রীতি অনুসরণ না করে নামাজে দাঁড়িয়ে যান, তাহলে অতক্রমকারীর উল্লেখিত নিয়মে কোন কিছু নামাজীর সম্মুখে রেখে অতিক্রম করতে পারবে।