(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
ঈমান অতিশয় মূল্যবান সম্পদ যে ব্যক্তির মধ্যে জররা (সরিষা) পরিমাণ ঈমান থাকবে সে বেহেশতে যাবে যদিও আমলের সাজা ভোগ করতে হবে।
এই আমলের সাজা ভোগ করেই একদিন না একদিন এ ঈমানের বদৌলতে দোযখ থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে বেহেশতে যাবে।
সে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে না। তাদের সম্পর্কে হুজুর পাক (সা.) ইরশাদ করেন যে, ব্যক্তি (মনে প্রাণে বিশ্বাস করে)
ইয়াকীনের সাথে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ পড়বে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে।
এ সম্পর্কে আপনারা একটি ঘটনা শ্রবণ করুন। উহা হল এই যে, এক ব্যক্তি কাফির, মুশরিক অবস্থায় সারাটা জীবন কাটিয়ে দিল,
জীবনের শেষ মুহুর্তে একজন বড় আলেমের সাথে তার সাক্ষাত হল। মাওলানা সাহেব তাকে বললেন, ভাই তুমি বড় ভুলের মধ্যে জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছ।
অথচ তোমরা মরিলে আগুনে পুড়ে ছাই ভষ্ম করে গর্তে পুতে দিয়ে আসা হয়। তোমরাতো মনে কর যে, তোমাদের আর কোন প্রকারের কষ্ট দেয়া হয় না।
কিন্তু তোমরা ভালভাবে জেনে রাখ তোমাদেরকে মহান শক্তিধর পরাক্রমশালী আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পুনরায়,
মানুষের রূপ ধারণ করিয়ে বিশাল উত্তপ্ত অগ্নি শিখায় নিক্ষেপ করে জ্বালাতে থাকবেন।
কিন্তু তখন তোমাদের মৃত্যু হবে না এবং শরীর পুড়ে ছাই ভষ্মে পরিণত হবে না।
বরং বিশাল আকারের শাস্তিতে পতিত হবে। এ কথাটুকু শ্রবণ করার সঙ্গে সঙ্গে ঐ কাফির লোকটি খুব ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় বলতে লাগল হুজুর এখন আমি কি করব?
আমার জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় কি? আমাকে তাড়াতাড়ি বলে দিন।
তখন মাওলানা সাহেব তাকে বলে দিলেন যে, তোমার করণীয় হল এই যে,
তুমি মনে প্রাণে অন্তরের সাথে বিশ্বাস করে পড় লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
(সূত্র: মাজালিছে সিরাজী-২৯৭,২৯৮)