(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
এখানে পৃথক পৃথক দুটি সুন্নাত রয়েছে। একটি হচ্ছে দাত পরিষ্কার করা। অপরটি হচ্ছে “মাসনূন মিসওয়াক” ব্যবহার করা।
অতএব টুথপেষ্ট, ব্রাশ কিংবা মাজন যদি তা পবিত্র হয়ে থাকে তাহলে এর দ্বারা প্রথমোক্ত সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে।
কিন্তু “মাসনূন মিসওয়াক” ব্যবহার করার যে সুন্নাত তা আদায় হবে না। এই সুন্নাত কেবল গাছের ডাল দ্বারাই আদায় হবে।
আর টুথপেষ্ট বা ব্রাশ যদি শুকরের পশম দ্বারা তৈরি হয় তবে তা ব্যবহার করা আদৌ বৈধ নয়।
স্মরণ রাখা দরকার যে, মাসনূন মিসওয়াক ব্যবহারের মধ্যে দাত ও মাড়ীর ফায়দা সহ মোট ৭০টি ফায়দা রয়েছে।
সবথেকে বড় ফায়দা যেটি হল মৃত্যুর সময় কালিমা নসিব হবে। যার মৃত্যুর সময় কালিমা নসিব হবে তার মত ভাগ্যবান আর কে হতে পারে।
টুথপেষ্ট, ব্রাশ কিংবা মাজন ব্যবহারে যদিও সাময়িক সৌন্দর্য অর্জিত হয় কিন্তু তদ্বারা এরকম ফায়দা অর্জন হয়না।
অধিকন্তু, টুথপেষ্ট এবং ব্রাশ কৃত্রিম জিনিস, আর কৃত্রিম জিনিস ব্যবহারে কিছুটা হলেও অশুভ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ই।
ব্রাশের ব্যবহারে অভ্যস্ত হলে দাতের মাড়ী, তালু বা জিহ্বায় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। একই ব্রাশ অধিক ব্যবহারে ব্রাশটি জীবাণুর ঘাঁটিতে পরিণত হতে পারে।
কিন্তু মিসওয়াক ব্যবহারে এ রকম কোন আশংকা নেই, সম্পূর্ণ নিরাপদ। মিসওয়াকের আশ বা ফাইভারগুলো নরম ও প্রাকৃতিক বিধায় মাড়ী,
তালু বা জিহবায় কোন সমস্যারও সৃষ্টি করে না। মিসওয়াক যত ব্যবহার করা যায় তা ততই ক্ষয় হতে থাকে এবং নতুন আশ সৃষ্টি হতে থাকে।
বিধায়, মিসওয়াকে কখনো জীবাণু জন্মাতে পারে না। পরন্তু ব্রাশ বা পেষ্ট ব্যবহার মোসলমানদের নির্দেশনও নয়।
তাই টুথপেষ্ট বা ব্রাশ ব্যবহারে অভ্যস্ত না হওয়া ভাল, মিসওয়াক ব্যবহারে অভ্যস্ত হওয়াই উচিত।
সেন্ট ব্যবহার
সেন্টের মধ্যে এলকোহল মিশ্রিত থাকে। আঙ্গুরের রস থেকে বের করা এলকোহল মিশ্রিত সেন্ট ব্যবহার সম্পূর্ণ হারাম।
আঙ্গুর ছাড়া অন্য কোন কিছুর রস থেকে বের করা এলকোহল মিশ্রিত সেন্ট ব্যবহার হারাম নয়। আর সেন্টের মধ্যে কোন ধরণের এলকোহল মিশ্রিত থাকে তা নিশ্চিতরূপে জানা থাকে না।
আর অনিশ্চিত বা সন্দেহযুক্ত থাকার কারণে কোন কিছুকে হারাম বলা যায়না। বিধায়, সেন্ট ব্যবহার হারাম নয়। তবে এ ধরণের সন্দেহযুক্ত বস্তু পরিত্যাগ করা উচিত।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়্যাহ-৫/১৮৩
রহীমিয়্যাহ-৬/২৭৭)