কাওমি শিক্ষা ধারায় শিক্ষার্থীকে শিক্ষা জীবনের শুরুতেই এই অনুভূতি সৃষ্টি করে দেয়া হয় যে,
তোমার শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্য নিজেকে সৎ ও আদর্শবান মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা
এবং যথাসম্ভব অন্যকে সৎ ও আদর্শবান মানুষ রূপে গড়ে তোলার চেষ্টা করা।
ফলে শিক্ষার্থী ঐ মানসিকতা নিয়েই তার শিক্ষা জীবন শুরু করে।
তাই শিক্ষার্জনের সাথে সাথে নিজেকে আদর্শিকভাবে বিকশিত করাও তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়।
আখেরাতের জবাবদিহিতার চেতনা তার মাঝে এভাবে বদ্ধমুল করে দেওয়া হয় যে,সে নিজেই নিজেকে আমলী ভাবে গড়ে তোলার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠে।
হক্কুল্লাহ ও হুকুকুল ইবাদতের চেতনায় এমনিতেই পরিশুদ্ধ হয়ে আসে তার আমল ও ব্যবহারিক জীবনের সকল কাজ কর্ম।
খাওফে এলাহির তাড়নায় সদা এমন ভীত ও সন্ত্রস্ত থাকে যে,তার চেহারা ফুটে উঠে তারই আভা।
ফলে শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে তারা যেখানেই গিয়ে বসে না কেন সেখানেই তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে একটি আদর্শিক ও নৈতিক পরিমন্ডল।
তার সান্নিধ্য লাভ করে বহু মানুষ অনুপ্রাণিত হয় তার নিজের জীবনকে অন্ধকার রাস্তা থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছে।