(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
বিশ্বমানবতার ইহকালীন শান্তি ও পরকালিন মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ সা:
পৃথিবীর বুকে নারী জাতির উন্নয়নের যে অদ্ভুত পূর্ব অবদান রেখে গেছেন,তা বিশ্বজুড়ে সার্বজন স্বীকৃতি এমন এক বিরল দৃষ্টান্ত যা নতুন করে লেখার অপেক্ষা রাখে না।
কেননা নারী সমাজের তদানীন্তন চিত্র ও প্রেক্ষাপটে মহানবী সা: নারী জাতির উন্নয়ন এবং তাদের মর্যাদা ও অধিকার আদায়ে দয়ার পরশ নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন,
তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ও উম্মতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নারীনীতী। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আরবের নারী সমাজের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ও হৃদয়বিদারক ছিল।
তারা নারীদের বলতো শয়তানের গোষ্ঠী ও অমঙ্গলের দূত। যার ফলে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত মাটি চাপা দিতে তাদের অন্তররে বিন্দমাত্র দয়ার উদ্রেক হত না।
ঐতিহাসিকরা আইয়্যামে জাহিলিয়্যাতের নারীজাতির যে কলংক জনক চিত্র উদ্ধার করেছেন,
সহজভাবে বলতে গেলে এরূপ দাড়ায়-নারীরা ছিল তাদের ভোগ্যপণ্যের মত।
নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ও উন্মুক্ত যৌনতার সয়লাব নারীদেরকে পন্যের মত বাজারে বেচাকেনা করা।
দু:খজনক হলেও সত্য যে,জাহিলিয়্যাতের ধারাবাহিকতা আজও বিভিন্ন পন্যের বাজারজাত করণের বিজ্ঞাপনে অর্ধনগ্ন নারীদের ব্যবহার করা হয়।
সেকালে কন্যা সন্তানকে তারা অপমানজনক মনে করতো।বিবাহের কোন নীতিমালা ছিলনা।
তালাক দেওয়ার ও কোন ননীতিমালা ছিলনা। যথেচ্ছা বিবাহ করত,যখন ইচ্ছা বর্জন করতে পারতো।
এমনকি পিতার মৃত্যুর পর আপন মাতাকে উত্তরাধিকার হিসেবে প্রাপ্ত হতো।
সেখানে ভাই-বোন,পিতা-কন্যা,ও পুত্র -মাতা র সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারতো।
এতে কোন আপত্তি ছিলনা- হিন্দু শাস্ত্রে আরো করুন অবস্থা ছিল।
মনুশাস্ত্রে উল্লেখ আছে,স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী বেচে থাকার আর কোন অধিকার নেই,তাই তাকে জীবন্ত পুড়ে ফেলা হতো।
পক্ষান্তরে ইসলাম নারী জাতিকে সম্মানের উচ্ছ আসনে পৌছিয়েছে। ইসলাম ইজ দ্যা বেষ্ট।
(লেখক: এইচ.কে.এম আফজাল আহমদ সুনাপুরী)