(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমুআ বারে সূরা কাহাফ পড়বে,
তার ঈমানের নুর এই জুমুআ থেকে ঐ জুমুআ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।
(বায়হাকী দাওয়াতুল কবীর)
জুমার দিন সূরা হুদ পড়ার হুকুম
হযরত কাব ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম (সা.) বলেছেন, জুমা বারে সূরা হুদ পড়বে।
(দারেমী-মুরসালরূপে)
সূরা কাহফের শুরুলগ্নের তিন আয়াতের বরকত
হযরত আবু দারদা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম তিন আয়াত পড়বে, তাকে দাজ্জালের ফেতনা হতে নিরাপদে রাখা হবে।
(তিরমিযী তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান ও সহীহ)
ব্যাখ্যা:
আবু দারদা (রা.) এর অন্য এক হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে, ব্যক্তি সূরা কাহফের শুরুর দশ আয়াত মুখস্ত করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা হতে নিরাপদে থাকবে।
এ হাদীসে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি সূরা কাহফের শুরুর তিন আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা হতে নিরাপদে থাকবে।
এই দুই হাদীসের পরস্পর বৈপরীত্যর কিছু কিছু মুহাদ্দিসগণ এমন সামঞ্জস্যতা পেশ করেছেন যে, প্রথমে হুজুর (সা.) বলেছেন,
সূরা কাহফের শুরুর দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদে থাকবে এবং পরে উম্মতের উপর অতিরিক্ত দয়ার কারণে পরে নবীজী বলেছেন,
যে ব্যক্তি সূরা কাহফের শুরুর তিন আয়াত মুখস্ত করবে, সেও দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।
কেননা দশ আয়াত মুখস্ত করা থেকে তিন আয়াত মুখস্ত করা সহজ।
সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত সমূহ মুখস্ত করার ফজিলত
হযরত আবু দারদা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দিকের দশটি আয়াত মুখস্ত করবে, তাকে দাজ্জাল হতে নিরাপদে রাখা হবে।
(মুসলিম)
ব্যাখ্যা:
দাজ্জাল থেকে উদ্দেশ্য ঐ দাজ্জাল, যাকে কিয়ামতের নিকটবর্তী সময় পৃথিবীর বুকে পাঠাবে এবং লোকেরা তার ধোকা ও প্রতারণার শিকার হবে।
অথবা দাজ্জাল থেকে উদ্দেশ্য ঐ দাজ্জাল, যে অন্য ব্যক্তিদেরকে তার প্রতারণা ও ধোকা দ্বারা পেরেশান করে।
তিরমিযী শরীফের বর্ণনা মতে- যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম তিন আয়াত পাঠ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে হিফাযত থাকবে।
তিরমিযী শরীফ এবং মুসলিম শরীফের হাদীসের মধ্যে পরস্পর বিরোধী হওয়ার সামঞ্জস্যতা কিছু কিছু ধর্মজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ এমন বলেছেন-
যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের দশ আয়াত মুখস্ত করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে হিফাযত থাকবে। যদিও সে দাজ্জালের সাথে মিলিত হয়।
যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের তিন আয়াত মুখস্ত করবে, সে অন্য ব্যক্তির ধোকা ও প্রতারণা থেকে হেফাযত থাকবে।
শয়নের পূর্বে হুজুর (সা.) এর দৈনিক অযীফা
হযরত জাবের (রা.) বলেন, নবী কারীম (সা.) যে যাবৎ “সূরা আলিফ লাম মীম, তানযীল ও সূরা তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মূলক” না পড়তেন, নিদ্রা যেতেন না।
(আহমদ, তিরমিযী ও দারেমী, তিরমিযী বলেছেন হাদীসটি সহীহ, শরহুসসুন্নাহেও এই রূপ রয়েছে। মাসাবীহ কিতাবে এই হাদীসটিকে গরীব বলা হয়েছে।
ব্যাখ্যা:
আলিফ-লাম-মীম, তানযীল ইহাকে সূরা সেজদা বলে।
(সূত্র: কোরআনের মহিমা-১০৬,১০৭,১০৮)