(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
জুমআর ফজিলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:- (এক) যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করে মসজিদে যাবে, যথারীতি সুন্নত এবং নফল নামাজ আদায় করবে,
মনোযোগের সাথে খুতবা শুনবে এবং ইমামের সাথে জুমআর নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তা'আলা তার এক জুমআ থেকে পরবর্তী জুমআ এবং পরবর্তী আরো তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দিবেন।
(দুই) যারা জুমআর নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে হেঁটে মসজিদে যায় তাদের প্রত্যেক কদমের জন্য এক বছরকালের নফল রোজা রাখার সাওয়াব প্রদান করা হয়।
(তিন) যে ব্যক্তি বিনা কারণে জুমআর নামাজ আদায় করে না সে মুনাফিকের পর্যায়ভুক্ত। (চার) যে ব্যক্তি অলসতা করে পরপর তিন জুমআ ছেড়ে দেয় আল্লাহ তার উপর খুবই অসন্তুষ্ট হন এবং তার অন্তরের মোহর মেরে দেন।
(পাঁচ) যে ব্যক্তি জুমআর দিনে মারা যাবে তার কবরের আজাব ক্ষমা করে দেওয়া হবে আর সে একজন শহীদের মর্যাদা লাভ করবে।
(ছয়) জুমআর নামাজ সহায় সম্বলহিনদের জন্য হজ্জের সমতুল্য (সাত) জুমআর দিন নূরে পরিপূর্ণ। (আট) জুমআর দিন কে কখন মসজিদে আসেন ফেরেশতা তা লিখতে থাকেন।
সবার আগে যিনি মসজিদে আসেন তিনি একটি উট সাদাকাহ দেওয়ার সওয়াব পান। এভাবে তারপর যিনি আসেন তিনি গরু সাদাকাহ করার, ক্রমান্বয়ে পরবর্তীতে আগমনকারীরা ছাগল, মুরগি এবং এমনকি ডিম সাদাকা দেওয়ার সাওয়াব পান।
এরপর ইমাম যখন খুতবা পড়েন তখন ফেরেশতারা সব লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে থাকেন। (নয়) শুক্রবার সপ্তাহের সব দিনের চেয়ে শ্রেষ্ঠতম দিন। কারণ মুসলমানদের জন্য এই দিনে জুমআর নামাজে অশেষ কল্যাণ নিহিত রয়েছে। (বেহেশতি জেওর, প্লাগুক্ত পৃষ্ঠা ২০০-২০৬)
অতএব আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য হলো আজানের পর সাংসারিক কাজ ফেলে একেবারে কালিমামুক্ত চিত্তে জুমআর নামাজে শামিল হওয়া। এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে সত্যিকারের কল্যাণ ও অনাবিল শান্তি।
এছাড়াও জুমআর নামাজের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার দৃঢ় বন্ধন গড়ে তোলা সম্ভব।