Breaking News
Home / রোজা / রোজার নিয়ত এর সময় কখন হয়

রোজার নিয়ত এর সময় কখন হয়

(বিডি২৪ ডটকম)

রোজার নিয়ত

রোজার নিয়তের ময় হলো, সূর্যাস্তের পর থে সুবহে সাদিকের পূর্বক্ষণ । সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার পর নিয়ত করা জায়েজ নয়।

তবে ইমাম শাফেয়ী ও আহমদ (রহ:)-এর মতে রোজার বেলায় দ্বি-প্রহরের পূর্ব পর্যন্ত নিয়ত করা জায়েজ আছে।

আর ইমাম মালেক (রহ.)- এর মতে সুবহে সাদিক হওয়ার পর নফল রোজার নিয়ত করাও জায়েজ নেই।

ইমাম আবু হানীফা (রহ.)-এর মতে রমজানের রোজা, নির্দিষ্ট মান্নতের রোজা এবং নফল রোজার নিয়ত দ্বি-প্রহরের পূর্ব পর্যন্ত করা জায়েজ আছে।

আর ক্বাজা কাফফারা এবং অনির্দিষ্ট মান্নতের রোজার নিয়ত সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার পর জায়েজ নেই। এ ব্যাপারে সমস্ত ইমাম একমত।

তিন ইমামের (তথা ইমাম আবু হানীফা, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ রহ.- এর) মতে রমজান শরীফের ত্রিশ দিনের রোজার জন্য প্রতি রাত্রেই পৃথক পৃথক নিয়ত করা শর্ত।

আর ইমাম মালেক (রহ.) এর মতে সমস্ত রমজানের রোজার জন্য রমজানের প্রথম রাত্রেই নিয়তই যথেষ্ট।
রমজানের প্রথম রাত্রে পূর্ণ রমজানের নিয়ত করার পর কিছু দিন পাগল অবস্থায় থাকলে তার রোজার হুকুম কি

কোন ব্যক্তি যদি রমজান মাসের প্রথম রাত্রেই ত্রিশ রাত্রের নিয়ত করে নেয় এবং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে যদি সে পাগল হয়ে যায়,

আর কয়েক দিন এ অবস্থায় অতিবাহিত করে এবং উক্ত দিনগুলোতে তার মধ্যে রোজা ের কোন সংঘটিত না হয়।

তাহলে ইমাম মালেক (রহ.)- এর মতে, তার রোজা আদায় হয়ে যাবে।

তবে তিন ইমামের মতে পাগল থাকাকালীন দিনগুলোর রোজা ক্বাযা করতে হবে।

কেননা, (উম্মাদনার কারণে) তার নিয়ত বাতিল হয়ে গেছে। আর যদি সমস্ত রমজানব্যাপী সে উম্মাদ থাকে, তবে তার রোজা হয়ে যাবে।

ক্বাযা ওয়াজিব হবে না। তবে রমজান মাসের কোন এক মুহূর্তের জন্যও যদি তার স্বাভাবিক জ্ঞান ফিরে আসে তাহলে পিছনের দিনগুলোর রোজা,

ক্বাযা করতে হবে। চাই সে বালেগ হওয়ার সময় পাগল হোক বা বালেগ হওয়ার পর পাগল হোক।

নজরে মুআইয়েন অর্থাৎ নির্দিষ্ট মান্নতের রোজা আদায়ের নিয়ত করবে

ইমাম আযম (রহ.)- এর মতে নির্দিষ্ট মান্নতের রোজা যেরূপ (শুধু)  মান্নতের নিয়ত করলে আদায় হয়ে যায়।

তেমনি রমজানের রোজাও সাধারণ নিয়ত ও নফল রোজার নিয়তের দ্বারা আদায় হয়ে যাবে। আর নির্দিষ্ট মান্নতের রোজার ক্ষেত্রে যদি অন্য কোন,

ওয়াজিব রোজার নিয়ত করে তবে অন্য ওয়াজিব রোজা আদায় হবে। অধিকাংশ ইমামের মতে নির্দিষ্ট মান্নতের নিয়ত ব্যতীত আদায় হবে না।

নফল রোজা যেমন নফলের নিয়ত দ্বারা আদায় হয়, তেমনি সাধারণ নিয়তের দ্বারাও সর্বসম্মতিক্রমে আদায় হয়ে যায়।

তবে অনির্দিষ্ট মান্নতের রোজা এবং ক্বাযা ও কাফফারার ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে নিয়ত করা শর্ত। এ ব্যাপারে সকলেই একমত।
রোজা কার উপর ফরজ? এ ফরজ কে অস্বীকারকারী ও পরিত্যাগকারীর হুকুম কি?

About Admin

আমার নাম: এইচ.এম.জামাদিউল ইসলাম ঠিকানা: সিলেট, বাংলাদেশ। আমি কোরাআনের খেদমতে আছি এবং MuslimBD24.Com সাইটের ডিজাইনার (Editor) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকায়, তাই সময় পেলে দ্বীন ইসলাম প্রচারের সার্থে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছু লেখালেখি করি। যাতে করে অনলাইনেও ইসলামিক জ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞানহীন মানুষ, ইসলামিক জ্ঞান সহজে অর্জন করতে পারে। একজন মানুষ জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিজের জীবনকে ইসলামের পথে চালাতে গেলে ইসলাম সম্পর্কে যে জ্ঞান অর্জন করার দরকার, ইনশা-আল্লাহ! এই ওয়েব সাইটে মোটামুটি সেই জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। যদি সব সময় সাইটের সাথে থাকে। আর এই সাইটটি হল একটি ইসলামিক ওয়েব সাইট । এ সাইটে শুধু দ্বীন ইসলাম নিয়ে লেখালেখি হবে। আল্লাহ তায়ালার কাছে এই কামনা করি যে, আমরা সবাইকে বেশী বেশী করে ইসলামিক জ্ঞান শিখার ও শিখানোর তাওফিক দান করুন, আমিন। তাজবীদ বিষয়ে কিছু বুঝতে চাইলে যোগাযোগঃ 01741696909

Check Also

কখন রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ ও কখন ভঙ্গ কর ওয়াজিব

(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম) রোজা রাখলে যদি রোগীর রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমন রোগী এবং মুসাফির …

Powered by

Hosted By ShareWebHost