(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
রোজা রাখলে যদি রোগীর রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমন রোগী এবং মুসাফির ব্যক্তির জন্য রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ।
তবে রোজা রাখলে মুসাফিরের যদি কোন ক্ষতি না হয় তাহলে তার জন্য রোজা রাখা উত্তম।
যদি মুসাফির জেহাদে লিপ্ত থাকে কিংবা রোজা তার জন্য ক্ষতিকর হয়, তাহলে তার জন্য রোজা ভেঙ্গে ফেলাই উত্তম।
আর যদি রোজা রাখলে মৃত্যুর আশংকা থাকে, তবে (ঐ অবস্থায়) রোজা ভেঙ্গে ফেলা ওয়াজিব। তখন রোজা রাখলে গোনাহ হবে।
যে রোগী বা মুসাফির রোজা ভেঙ্গে ফেলেছিল সে যদি উক্ত রোগ অথবা সফর অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, তাহলে তার উপর ক্বাযা আদায় করা ওয়াজিব হবে না।
আর যদি রোগী সুস্থ হয়ে বা মুসাফির মুকীম হয়ে মৃত্যুবরণ করে তাহলে সুস্থতা লাভ ও মুকীম হওয়ার পরে যতদিন পর্যন্ত জীবিত ছিল।
ততদিনের রোজার ক্বাযা আদায় করা ওয়াজিব হবে।
যদি সে ক্বাযা আদায় না করে থাকে তবে অসিয়তের শর্তে মৃত ব্যক্তির এক তৃতীয়াংশ মাল থেকে ফিদয়া আদায় করা ওলীর উপর ওয়াজিব হবে।
অর্থাৎ প্রতিটি রোজার পরিবর্তে একটি সদকায়ে ফিতর পরিমাণ খানা একজন মিসকিন কে প্রদান করবে।
আর যদি মৃত ব্যক্তি অসিয়য়ত না করে থাকে তাহলে ফিদয়া প্রদান করা ওয়াজিব হবে না।
তবে যদি ওলী নিজের পক্ষ থেকে দিয়ে দেয় তাহলে জায়েজ আছে।
কেউ যদি রমজানের ক্বাযা বিচ্ছিন্নভাবে আদায় করে তাহলে তা আদায় হবে কি
রমজানের রোজার ক্বাযা ইচ্ছা করলে লাগাতার আদায় করতে পারে অথবা ইচ্ছা করলে মাঝে মাঝে বিরতি দিয়েও আদায় করতে পারে।
যদি পুরো বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পরেও ক্বাযা,আদায় না করে এবং পুনরায় অন্য রমজান এসে পড়ে তাহলে আগে দ্বিতীয় রমজানের রোজা আদায় করবে,
তার পর পূর্বের ক্বাযা রোজা আদায় করবে। এক্ষেত্রে কোন ফিদয়া প্রদান করা ওয়াজিব হবে না।
মাসআলা: যে বৃদ্ধলোক রোজা রাখতে অক্ষম তার জন্য রোজা না রাখা জায়েজ আছে।
তবে প্রতিটি রোজার পরিবর্তে ফকীর-মিসকিনকে সদকা ফিতর পরিমাণ খানা দান করতে হবে।
পরে কখনো রোজা রাখতে সক্ষম হলে তার উপর উক্ত রোজা ক্বাযা করা ওয়াজিব হবে।
মাসআলা: কোন গর্ভবতী অথবা দুগ্ধদোহনকারীনি যদি নিজের বা নিজের সন্তানের জীবননাশের আআশংকা করে, তবে রোজা ভঙ্গ করতে পারবে পরবর্তিতে ক্বাযা করবে।
এক্ষেত্রে তার উপর ফিদয়া ওয়াজিব হবে না।