ইসলামের রোকনসমূহের মধ্যে একটি রোকন হলো পবিত্র রমজান মাসের রোজা, যা প্রত্যেক মুকাল্লাফ (যাদের উপর শরীয়তের হুকুম প্রযোজ্য)
মুসলমানের উপর অবশ্য পালনীয় ফরজ। রোজা অস্বীকারকারী কাফেত এবং বিনা ওযরে পরিত্যাগকারী ফাসেক।
সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে,
হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাযি.)- নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে,
আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের সওয়াব আল্লাহ তায়ালা সাত থেকে একশত গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন।
কিন্তু রোজা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই রোজা আমার জন্য এবং আমি নিজেই রোজার প্রতিদান দিব।
রোজা আদায় সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত কি কি?
তা আদায় সহীহ হওয়ার জন্য নিয়ত করা এবং মহিলারা হায়েয ও নেফাস থেকে পবিত্র হওয়া শর্ত।
রোজা মোট কত প্রকার ও কি কি?
তা হল ছয় প্রকার-
১. রমজান মাসের রোজা,
২. ক্বাযা রোজা,
৩. নির্দিষ্ট মান্নাতের রোজা,
৪.অনির্দিষ্ট মান্নাতের রোজা,
৫. কাফফারার রোজা, ৬.
নফল রোজা
রোজার নিয়ত কিভাবে করতে হবে?
ইমাম আযম (রহ.) এর মতে সাধারণ নিয়ত, ফরজে ওয়াক্তের নিয়ত এবং নফল নিয়তের দ্বারা রমজান মাসের রোজা আদায় হয়ে যায়।
রমজান মাসে কেউ যদি ক্বাযা অথবা কাফফারার রোজার নিয়ত করে আর ঐ ব্যক্তি যদি সুস্থ ও মুকীম হয়,
তবে ঐ সময়ের ফরজ অর্থাৎ রমজান মাসের রোজাই আদায় হবে, অন্য রোজা আদায় হবেনা।
আর যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রোগী অথবা মুসাফির হয়,
তাহলে সে ক্বাযা অথবা কাফফারা যে ধরণের রোজার নিয়ত করবে সেটিই আদায় হবে।
তবে সাহেবাইন (রহ.) এর মতে এমতবস্থায়ও (যদিও রোগী ও মুসাফির হয়) ফরজে ওয়াক্তের তথা রমজানের রোজাই আদায় হবে।
আর ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ (রহ.) এর মতে রমজানের রোজার জন্যো নির্দিষ্ট করে নিয়ত করা জরুরী।