প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমার পর তিনবার অতিরিক্ত তাকবীর বলবে এবং প্রত্যেক বার কান পর্যন্ত হাত উঠাবে।
অত:পর ছানা পড়বে, দ্বিতীয় রাকাতে ক্বেরাতের পরে ও রুকুর পূর্বে তিনবার অতিরিক্ত তাকবীর বলবে এবং প্রত্যেকবার হাত উঠাবে।
অত:পর রুকুর জন্য তাকবীর বলবে। রুকুর এই তাকবীর ঈদের নামজে ওয়াজিব।
তাই ছুটে গেলে সাহু সেজদা আবশ্যক হবে।
ইমামের সঙ্গে ঈদের নামাজ পাওয়া না গেলে তার কোন ক্বাযা নেই।
(কোন এলাকার) ইমাম এবং সেখানকার অধিবাসীদের সকলেই যদি কোন ওযরের কারণে প্রথম দিন ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েতে না পারে।
তাহলে দ্বিতীয় দিন তা আদায় করে নিবে, কিন্তু এর পরে আর পারবেনা।
অবশ্য ঈদুল আযহার নামাজ ১২ই জিলহজ্ব পর্যন্ত পড়া দুরস্ত আছে।
ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতরের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
ঈদুল আযহার নামাজ ঈদুল ফিতরের মতোই।
তবে পার্থক্য এতটুকু যে, ঈদুল আযহার দিন ঈদের নামাজের পর নিজের কুরবানির গোশত দিয়ে খানা খাওয়া মুস্তাহাব।
অবশ্য নামাজের পূর্বেও অন্য কিছু খাওয়া মাকরুহ নয়। ঈদের নামাজের পূর্বে কুরবানি করা জায়েজ নেই।
ঈদুও আযহায় ঈদগাহে চলার পথে তাকবীরে তাশরীক উচ্চ:স্বরে বলবে।
আইয়্যামে তাশরীক কতদিন এবং এর হুকুম কি?
ইমাম আযম রহ. এর মতে আরাফার দিনের (৯ই জিলহজ্ব) সুবহে সাদিক থেকে ঈদের দিন (১০ই জিলহজ্ব) আসর পর্যন্ত,
প্রত্যেক ফরয নামাজের পর (যা জামাতের সাথে আদায় করা হয়) মুকীমের জন্য তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব।
সাহেবাইনের মতে ১৩ই জিলহজ্ব আসর পর্যন্ত তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। এর উপরই ফতোয়া দেওয়া হয়েছে।
কোন মহিলা বা মুসাফির যদি মুকীমের সাথে এক্তেদা করে,তাহলে তার উপরও তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব হয়ে যায়।
একবার উচ্চ:স্বরে বলবে-
(আল্লাহু আকবর,আল্লাহু আকবর,লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ)।
ইমাম সাহেব (ভূলক্রমে) তাকবীরে তাশরীক ছেড়ে দিলেও মুক্তাদীগণ ছাড়বেনা।