(Muslim BD 24.com)
পাত্রীর গুনাবলী
👉 দ্বীনদার পাত্রী দেখে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন।
চারটি গুণের প্রতি লক্ষ্য রেখে মহিলাদের বিবাহ করা হয়। সম্পদ,বংশ, সৌন্দর্য ,ও দ্বীনদারী
অতএব দ্বীনদার মহিলাকেই তোমরা প্রাধান্য দাও।
👉 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও এরশাদ করেন তোমরা মহিলাদেরকে শুধুমাত্র তাদের সৌন্দর্য দেখে বিয়ে করিও না।
কেননা তাদের সৌন্দর্য তাদেরকে বিনষ্ট করা সম্ভবনা রয়েছে,
এবং মহিলাদেরকে তাদের অর্থ সম্পদ লাভের উদ্দেশ্যে বিবাহ করিও না,
কেননা ঐ সম্পদ তাদেরকে স্বামীর অবাধ্য বানাতে পারে। বরং তোমরা বিবাহ করো দ্বীনদারী দেখে।
👉 যে ব্যক্তি কেবল এই উদ্দেশ্যেই বিবাহ করবে যে,
সে নিজের চক্ষুকে অশালীন দৃষ্টিপাত থেকে সংযত রাখবে, যৌনাঙ্গকে হেফাজত করবে, আর আত্মীয়তা বজায় রাখবে।
আল্লাহ তা'আলা উক্ত স্বামী স্ত্রীকে পরস্পরের জন্য বরকতময় করবেন।
👉 পর্দাশীল ও গুনাহ হতে পবিত্র চক্ষু হেফাজতকারী পাত্রী দেখে বিয়ে করবে।
যে স্ত্রী পর পুরুষের দিকে দৃষ্টিপাত করে সে স্বামীর হককে নষ্ট করল,
এবং যে স্বামীর হক নষ্ট করল সে নিশ্চয়ই স্বামীর মালের মধ্যে খেয়ানত করবে।
👉 সৎ চরিত্রবান মহিলা কে বিবাহ করা, কারণ অসৎ চরিত্র ও বদমেজাজি মহিলার দ্বারা সংসার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
👉 সৌন্দর্য দেখে বিবাহ করা।
তবে সৌন্দর্য যাচাইয়ের পূর্বে পাত্রীর দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দিতে হবে।
যদি এমন হয় যে পাত্রী যথেষ্ট সৌন্দর্যের অধিকারী কিন্তু তার মধ্যে দ্বীনদারি নেই, তবে এমন মহিলাকে এড়িয়ে চলা।
👉 সন্তান অধিক হয় এরকম বংশী মেয়ে দেখে বিবাহ করা
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন অধিক সন্তান ওয়ালা দেখে বিবাহ করো, কারণ কিয়ামতের দিন আমি বেশি উম্মত নিয়ে গর্ব করব।
ভালো বংশ দেখে বিবাহ করা
বংশ বা সম্পদ স্বামীর সমান বা কম হওয়া, কিন্তু চরিত্র, আদব, দ্বীনদারী ও সৌন্দর্যের মধ্যে স্বামী হতে অধিক উত্তম হওয়া জরুরী।
পাত্রের গুনাবলী
👉 সৎ চরিত্রবান হওয়া
👉 দ্বীনদার হওয়া
👉 মহরও খোরপোষের সামর্থ থাকা
👉এবং প্রয়োজনীয় রোজগারের শক্তি ও যোগ্যতা থাকা
এরকম ছেলে দেখে বিবাহ দেওয়া উচিত।
*পাত্র পাত্রী সংক্রান্ত জরুরী মাসায়েল*
১. বিবাহ সম্পাদন হওয়ার শর্ত সমূহ হতে কমপক্ষে দুইজন সাক্ষীর সামনে বিবাহ হওয়া
২. প্রস্তাব দেয়া এবং কবুল বলা অর্থাৎ এক পক্ষ এরকম বলা যে
আমি আপনার সাথে অমুককে বিবাহ দিলাম এবং অপরজন বলবে আমি কবুল করলাম।
৩. বিবাহের প্রতি মেয়ের পূর্ণ সমর্থন থাকা অথবা যদি মেয়ে না বালেগা হয়, তাহলে পিতা বা দাদার সমর্থনে বিবাহ হওয়া।
৪. মহর নির্দিষ্ট করা
তবে আদায় না করার নিয়তে লোক দেখানোর জন্য বেশি মোহর নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়।
তাতে বিয়ের সহিহ হবে না বরং যিনায় পরিণত হবে নাউজুবিল্লাহ……!