Breaking News
Home / ইসলাম ধর্ম / উমরাহ’ পালনের পদ্ধতি ও ফজিলত

উমরাহ’ পালনের পদ্ধতি ও ফজিলত

(MuslimBD24.com)

  1. ওমরা শব্দের অর্থ হচ্ছে জিয়ারত বা দর্শন। শরীয়তের পরিভাষায় “কিছু সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমের সাথে বায়তুল্লাহ জিয়ারত করা কে ওমরাহ বলা হয়”।

উমরাহ পালনের ফজিলত

প্রথমত: কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

واتم وا الحج والعمرة لله “এবং তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির ্দেশ্যে হজ ও ওমরা  পূর্ণ করো”

২|বুখারী ও শরীফে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

“এক ওমরা থেকে অপর উমরা পর্যন্ত কৃত পাপের কাফফারা উমরা দ্বারা হয়ে যায়”

৩|রমজান মাসে ওমরা পালন মুস্তাহাব এতে এক হজ্বের সওয়াব মিলে, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন  রমজানে মাসের উমরাহ এক হজ্বের সমতুল্য”

(উমরাহ পালনের পদ্ধতি)

মিকাত থেকে হজের ইহরামের মত এহরাম বেঁধে ইহরামের ও মাকরুহ বিষয়াদি  থেকে বিরত থেকে আদব কায়দার দিকে পুর্ণ খেয়াল রেখে

তালাবিয়া পাঠ করতে করতে মক্কা মোকাররমায় প্রবেশ করতে হয়।

বাবু সালাম মতান্তরে বাবুল ওমরা ধরে মসজিদুল ে প্রবেশ করে রমল ও ইজতিবা সহ তাওয়াফ করতে হয়,

প্রথম চুম্বনের সাথে সাথে তালাবিয়া বন্ধ করে দিতে হয়।

তাওয়াফ শেষে  দুই রাকাত াজ আদায় করে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করে

বাবু সাফার পথে সাঈ  এর জন্য বের হয়ে এসে যথা নিয়মে সাঈ সম্পন্ন করতে হয়।

সাঈ এরপর পুনরায় মাতাফে(তাওয়াফ করার স্থানে) এসে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে য় গিয়ে

চুল মুন্ডন অথবা ছেঁটে এহরাম ছেড়ে হয়ে যেতে হয়, এভাবে ওমরা আদায় করতে হয়।

থেকে ইহরাম পালনকারীদের জন্য ‘হিল' এলাকা মীকাত হলেও তান'য়ীম ও জি'রানা থেকে এহরাম বাধা উত্তম।

হজ্ব ও ওমরাহ এর মধ্যে পার্থক্য:

উমরাহ'র ইহরাম শর্তাবলী ও আহকাম হজের মতোই।

তবে হজ ও ওমরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে হজের সময় সুনির্ধারিত আর ওমরা বছরের যে কোন সময় করা যায়,

কেবল ৯ ই জিলহজ থেকে ১৩ই জিলহজ এই ৫ দিন ওমরা নিষিদ্ধ

ওমরায় আরাফাতে বা মুজদালিফায় অবস্থান কিংবা দুই ওয়াক্তের নামাজে একত্রিকরন অথবা তাওয়াফে কুদুম তাওয়াফে বিদা ইত্যাদি নেই।

এছাড়া  হারাম শরীফের সীমা বাইরে থেকেও এহরাম বেধে ওমরা করা যায়,

কিন্তু হজের জন্য সুনির্দিষ্ট মীকাত রয়েছে। এর বাইরে এহরাম বাধা জায়েজ নেই।

ওমরা সংক্রান্ত জরুরী মাসায়েল

ওমরাতে ২ টি কাজ ফরজ :১. ইহরাম বাঁধা ও ২. তাওয়াফ করা, এবং ইহরামের মত নিয়ত করা  আর তালাবিয়া পাঠ করাও ফরজ।

উমরাতে  দুটি কাজ ওয়াজিব: ১. সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সাঈ করা তথা দৌড় দেয়া, ২. র চুল মুন্ডন করা অথবা ছেঁটে দেয়া।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

About Muhammad abdal

আমি মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আবদাল।দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেছি ২০২১ ইংরেজি সনে । লেখালেখি পছন্দ করি।তাই সময় পেলেই লেখতে বসি। নিজে যা জানি তা অন্যকে জানাতে পছন্দ করি,তাই মুসলিমবিডি ওয়েব সাইটে লেখা প্রকাশ করি। ফেসবুকে ফলো করুন👉 MD ABDALツ

Check Also

অধিক হারে ইস্তেগফারের ফজিলত

ইস্তেগফারের ফজিলত

হামদ ও সালাতের পর… রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যত ভালো কাজ শিক্ষা দিয়েছেন, তাতে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost