(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
আমাদের সিলেটে ইদানীং মুতা বিয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
ইংল্যান্ডে যাবার জন্য মূলত এই ধরনের কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ অনেক বেশি হচ্ছে।
স্পাউস/ডিপেন্ডেন্ট ভিসায় বিয়ে করে ইংল্যান্ড যাবে, ইংল্যান্ড যাবার পর ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে!
ইসলামে এই ধরনের বিয়ে হারাম
মূতা বিবাহ বাতিল। মূতা বিয়ে হল, কোনো পুরুষ কোনো মহিলাকে বলবে,
আমি এত দিনের জন্য এত টাকার বিনিময়ে তোমার কাছ থেকে ফায়দা গ্রহণ করবো
(যে কোনো ধরনের ফায়দা)। এরকম বিয়ে শরীয়তে নিষিদ্ধ।
কেউ যদি অনার্স শেষ করে ইংল্যান্ডে মাস্টার্স করতে যেতে চান,
তাহলে তিনি তার হাসবেন্ড কিংবা ওয়াইফ সাথে নিতে পারবেন৷
অর্থাৎ, একজন স্টাডি পারপাসে যাবেন আর অন্যজন স্পাউস হিসেবে।
এই সুযোগকে ভিন্ন ভাবে কাজে লাগাচ্ছেন অনেকেই।
যেখানে অনার্স শেষ করা একটা ছেলে কিংবা মেয়ে সবদিক থেকেই বিয়ের জন্য উপযুক্ত,
সেখানে বিয়ে না করে এইরকম আরেকজনকে সাথে নিয়ে যাওয়া,
(যিনি হাসবেন্ড/ওয়াইফ সেজে যাবেন তিনি অনেক টাকা অপরপক্ষকে দিবেন)
এটা একটা জাহেলিয়াত, প্রচন্ডরকমের জাহেলিয়াত
দুনিয়ার মোহে পড়ে আমাদের ক্বলব কতটুকু নষ্ট হয়ে গেছে কল্পনা করা যায়?
আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি কত বছর বাঁচবেন?
বিয়ের কিছুদিন পর কেন নিজ স্ত্রীকে ভালো লাগেনা
বড়জোর আশি থেকে একশত বছর। কিন্তু তারপর কোথায় জাবেন।
হাওয়া হয়ে যাবেন? না, আপনাকে আপনার রবের কাছে ফিরে যেতে হবে।
দুনিয়াতে আল্লাহ পাঠাইছেন উনার কিছু রুলস আছে সেই রুলস অনুযায়ী জীবন যাপন করা।
বিয়ে থেকে বিরত থাকা কি ইসলাম সমর্থন করে
সময় ফুরিয়ে গেলে চলে যেতে হবে আসল ঠিকানায়।
সেখানে আপনার আমার ঠিকানা হবে জান্নাত অথবা জাহান্নাম।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদেরকে সবাইকে সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুন।
এই ব্যাধি থেকে তথা হারাম রিলেশন থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন । আমিন।