(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
বিয়ের কয়েক বছর/মাস পরই অনেকে তাদের স্ত্রীদের মধ্যে তেমন সৌন্দর্য দেখতে পান না, স্ত্রীদেরকে আগের মতো ভালো লাগে না।
খোঁজ নিলে দেখা যায়, এই লোকদের প্রায় সকলেই কুদৃষ্টির মত খারাপ রোগে আক্রান্ত।
কেউ যখন অনলাইন-অফলাইনে হরেক রকমের নারী দেখে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে,
তখন স্বাভাবিকভাবেই তার স্ত্রীর প্রতি আগের মত আকর্ষণ অনুভব করবে নাএবং তার স্ত্রীকে আর আগের মত ভালো লাগবে না।
সুতরাং নিজেদের সংসারে সুখ-শান্তির জন্য নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত রাখার কোন বিকল্প নেই। একই কথা নারীদের বেলায়ও।
.নারীর প্রতি হঠাৎ দৃষ্টিপাতে যৌন কামনা জাগ্রত হলে করণীয় কী
.
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের কারো যদি কোন নারীকে দেখে মনে কিছু উদয় হয়,
তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে এবং তার সাথে মিলিত হয়।
এতে তার মনে যা আছে, তা দূর করে। (অর্থাৎ, মনের মধ্যে থাকা যৌন বাসনা বৈধভাবে স্ত্রীর সাথে পূরণ করে)।'' [মুসলিম, আস-সহিহ: ৩৩০০]
অন্য হাদিসে তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন (অনিচ্ছাকৃতভাবে) কারো দৃষ্টি কোন পর-নারীর উপর পড়ে এবং সে আকর্ষণবোধ করে,
সে যেন আপন স্ত্রীর নিকটবর্তী হয়। কেননা তার (অন্য নারীর) এমন (বিশেষ) কিছু নেই, যা তার (আপন স্ত্রীর) নেই।'' [দারিমির সূত্রে মিশকাত: ২৯৬৩]
.নবিজি কোনো বিষয়ে কথা বলার সময় বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলতে কখনো কার্পণ্য করতেন না।
উপরের হাদিসটি তার প্রমাণ। কারণ তিনি পুরো উম্মতকে দিক-নির্দেশনা দিতেন। তিনি চেষ্টা করতেন এমনভাবে কথা বলতে, যা সবাই বুঝতে পারে।
যাহোক, উপরের হাদিসটির মত স্বয়ং নবিজি নিজেও আমল করে দেখিয়েছেন।
একদিন অনিচ্ছাকৃতভাবে হঠাৎ রাস্তায় কোন এক নারীর উপর তাঁর চোখ পড়ে যায়।
সাথে সাথে তিনি উম্মুল মুমিনিন যাইনাব (রা.)-এঁর নিকট চলে আসেন এবং তাঁর সাথে মিলিত হন। [মুসলিম, আস-সহিহ: ৩২৯৮]
অনেকেই বলবেন, ভাই আমরা তো এখনো বিয়েই করিনি, আমাদের কী হবে
সাহাবি আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমরা কয়েকজন যুবক নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম,
যাদের কিছুই ছিল না। তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘‘হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থ্য রাখ, তাদের উচিত বিয়ে করে ফেলা।কেননা বিয়ে দৃষ্টিকে অবনতকারী ও লজ্জাস্থানকে হেফাজতকারী।
আর, যার সামর্থ্য নেই, তার উচিত রোজা রাখা। কেননা রোজা যৌন উত্তেজনা প্রশমনকারী।'' [বুখারি, আস-সহিহ: ৫০৬৬; মুসলিম, আস-সহিহ: ১৪০০]
Collected by Bodruzzaman