স্বাভাবিক সহ্য সীমার বেশি মেহনত করবে না। এক্ষেত্রে কেউ কারো পুরাপুরি আদর্শ নন।
কারো জন্য রাতে তিন চার ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট হতে পারে।
তবেসুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের সাধারণত ছয় ঘন্টা ঘুমাতে হয়।
হাকিমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এ কথা বলেছেন।
আবার কারো কারো কোন কারনে ছয় ঘন্টার বেশিও ঘুমানোর প্রয়োজন হতে পারে।
হযরত মাওলানা আব্দুল মতিন বিন হুসাইন দামাত বারাকাতুহু লিখেছেন।
মস্তিষ্ক ব্যবহার করে যাদের কাজ করতে হয়, হযরত তানবী তাদেরকে আট ঘন্টা ঘুমাতে বলেছেন।
অবশ্য যতটুকু পরিশ্রম তোমার শরীর স্বাভাবিকভাবে সহ্য করতে পারে, ততটুকু করার ব্যাপারে অলসতা ও করবে না।
পরিশ্রম ছাড়া কিছু হয় না
জীবন পথের পাথেয় বইয়ে সাইয়েদ আবুল আলী নদবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন,
যিনি-ই গড়ে উঠেছেন এবং আপন কীর্তি ও কর্মে প্রজ্জ্বল হয়েছেন,
নিজের চেষ্টা সাধনা ও পরিশ্রমের বিরাট বিনিয়োগের মাধ্যমেই হয়েছেন।
অলস, কর্ম বিমুখ ও নিশচেষ্ট মানুষের জন্য সাধনার এই পৃথিবীতে স্থান নেই।
বস্তুত ত্যাগ ও কোরবানি এবং পন ও প্রতিজ্ঞা এমনই মহাশক্তি যে, তা যদি ব্যক্তির মাঝে জাগ্রত হয়,
তাহলে তাকে আকাশের উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।
যদি এ প্রতিষ্ঠান বা সম্প্রদায়ের মাঝে সৃষ্টি হয়, তাহলে পৃথিবী তার শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়।